“যদি ভাল সম্পর্ক থাকত, তাহলে পুরসভায় আমিই টিকিট পেতাম” সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সাফ জানালেন রেশন বন্টন মামলায় ধৃত শঙ্কর আঢ্য (Shankar Adhya)। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বনগাঁয় (Bongaon) তৃণমূলের খারাপ ফল হওয়ার পরই পুর প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল শঙ্করকে। শুধু তাই নয়, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনেও বনগাঁয় খারাপ ফল হওয়ার শঙ্করের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন একাধিক কাউন্সিলর। আর সেকারণেই গত পুর নির্বাচনে আর টিকিট পাননি তিনি। এবার সাংবাদিকদের মুখে সেই প্রশ্ন শুনে মেজাজ হারালেন বনগাঁর এই প্রাক্তন পুর প্রশাসক।

সোমবার সকালে শারীরিক পরীক্ষা (Health Checkup) জন্য যখন শঙ্কর আঢ্যকে বের করা হচ্ছিল তখনই সাংবাদিকরা একাধিক প্রশ্ন করেন তাঁকে। পাশাপাশি এদিন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের থেকে কোনওরম টাকা তিনি নেননি বলেই দাবি শঙ্করের। তিনি বলেন, কোনওদিন আমি ওঁর থেকে ১০০ টাকাও নিইনি। পাশাপাশি জ্যোতিপ্রিয়র মেয়ে প্রিয়দর্শিনীও তাঁকে চিনতেন না বলেও দাবি করেছেন শঙ্কর। এদিকে ইতিমধ্যে শঙ্কর আঢ্যর সংস্থা ‘আঢ্য ফরেক্স প্রাইভেট লিমিটেডের বিরুদ্ধে ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট আইনে মামলা রুজু করেছে ইডি। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ওই সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে ২৭০০ কোটি টাকা এবং সেই টাকা গত ২-৩ বছরে নগদে অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে।

তবে সংস্থার ব্যাঙ্ক ডিটেইলস খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, আঢ্য ফরেক্সের অ্যাকাউন্টে যে নগদ টাকার হদিশ মিলছে, সেটা বিদেশি মুদ্রা। মূলত ডলার এবং ইউরোতে পরিবর্তন করা হয়েছে। ইডি আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, এই টাকার উৎস কী, তা নিয়ে কিছু স্পষ্ট জানাতে পারেননি শঙ্কর। আর তা নিয়েই এখন কার্যত মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় ইডি আধিকারিকদের।










































































































































