বামেদের ব্রিগেডে পাত্তা পেল না ‘২২ লাখি গাড়ির’ মালিক বাতেলাবাজ টিভির নেতারা

0
1

সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই রবিবার ব্রিগেডে সমাবেশ করেছিল। সকল স্তরের নেতাদের জানানো হয়েছিল আমন্ত্রণ। তবে তারুণ্যে ভর করে বৃদ্ধতন্ত্রের অবসানের স্পষ্ট বার্তা ছিল ‘ক্যাপ্টেন’ মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের ব্রিগেডে। রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম সহ দু’একজন সিনিয়র লিডার বক্তার তালিকায় থাকলেও দলের প্রবীণ নেতারা কিন্তু শ্রোতার আসনেই ছিলেন! আর মঞ্চ আলো করে বসেছিল, সিপিএমের ছাত্র-যুবরা। মূল বক্তার তালিকাতেও তারুণ্যের জয়গান।

তার মধ্যেও ব্যতিক্রম ছবি ধরা পড়েছে। মীনাক্ষী, সৃজন, ধ্রুবজ্যোতি, কলতানদের, সায়নদের মাঝে খুঁজে পাওয়া যায়নি সিপিএমের নতুন প্রজন্মের স্বঘোষিত নেতা শতরূপ ঘোষ কিংবা কৌস্তভ চট্টোপাধ্যাদের মতো আরও কয়েকজনকে। যারা সকাল-সন্ধ্যা টেলিভিশনের পর্দায় কুৎসা-অপপ্রচারের ঝুলি নিয়ে বসে পড়ে। শতরূপ বা কৌস্তভরা যদি এতটাই সুবক্তা হয়ে থাকে, তাহলে কেন ডিওয়াইএফআই-এর ব্রিগেডের মঞ্চে বক্তব্য রাখার সুযোগ পেল না?

আসলে অলিমুদ্দিনের ম্যানেজারেরা বুঝে গিয়েছেন শতরূপের মতো বাচাল-বাতেলবাজদের দিয়ে টিভির আসর গরম করা গেলেও ব্রিগেডের সমাবেশে কোনও গুরুত্ব নেই। ২২ লাখি গাড়ির নেতা যে কাগুজে বাঘ সেটা, কসবায় হারের হ্যাটট্রিকের পর হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি আলিমুদ্দিনের নেতারা। প্রচার বিমুখ মীনাক্ষীরাও বুঝে গিয়েছেন, শতরূপ-কৌস্তভদের মতো বাতেলাবাজদের দিয়ে আর যাইহোক সংগঠন মজবুত করা যায় না। বরং টিভি চ্যানেলে বসে ফাঁকা কলসির মতো আওয়াজ মারা নেতাদের কথাবার্তা জনমানসে নেতিবাতক প্রভাব পড়ে। তাই শতরূপদের মতো বাচালদের ব্রাত্য করেই এবার ব্রিগেড করল সিপিএমের নতুন প্রজন্মের নেতা-নেত্রীরা।

আরও পড়ুন-বিলকিস মামলায় মুখ পু.ড়ল গুজরাট সরকারের! সুপ্রিম রায়ে শেষমেশ জেলেই ফিরছে ১১ আ.সামী