“দেহত্যাগ না করলে পদত্যাগ করেন না”, “পক্ককেশ ছাড়া নেতা হওয়া যায় না”, দলের অন্দরে হোক কিংবা বাইরে, সিপিএম তথা বামেদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তবে রবিবারের ব্রিগেডে একটু হলেও বদলেছে সেই ছবি। সাদা চুলের বাম নেতাদের বিলম্বিত বোধোদয়। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন প্রজন্মের প্রয়োজনীয়তা বুঝেছে আলিমুদ্দিনের নেতারা।
রবিবার তারুণ্যের ব্রিগেডে মীনাক্ষী, সৃজন, ধ্রুবজ্যোতি, কলতানরা যখন বক্তব্য রাখছেন, তখন শ্রোতার আসরে বসে তা মন দিয়ে শুনলেন বিমান বসু, সুজন চক্রবর্তীরা। ডিওয়াইএফআই রবিবার ব্রিগেডে যে সমাবেশ করেছিল, তাতে সকল স্তরের নেতাদের জানানো হয়েছিল আমন্ত্রণ। তবে তারুণ্যে ভর করে বৃদ্ধতন্ত্রের অবসানের স্পষ্ট বার্তা ছিল ‘ক্যাপ্টেন’ মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের ব্রিগেডে। রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম সহ দু’একজন সিনিয়র লিডার বক্তার তালিকায় থাকলেও দলের প্রবীণ নেতারা কিন্তু শ্রোতার আসনেই ছিলেন! আর মঞ্চ আলো করে বসেছিল, সিপিএমের ছাত্র-যুবরা। মূল বক্তার তালিকাতেও তারুণ্যের জয়গান।
আসলে সিপিএম বুঝেছে এ রাজ্যে তৃণমূলকে মোকাবিলা করতে হলে নতুন প্রজন্মকে তুলে আনতে হবে। কারণ, বাংলার মানুষ এখনও ভুলতে পারেনি ৩৪ বছর বামেদের অপশাসন, অত্যাচারের কাহিনী। সিপিএমের পক্ককেশী নেতাদের গায়ে এখনও গন্ধ রয়েছে মরিচঝাঁপি থেকে নন্দীগ্রামের গন্ধ।


 
 
 
 

































































































































