বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে ‘হোম’ থেকে ২৬ নাবালিকা উধাও, তদন্তে NCPCR

0
1

সারপ্রাইজ ভিডিটে মধ্য়প্রদেশের একটি বেসরকারি ‘হোম’-এ ঢুকে চক্ষু চড়কগাছ ন্যাশানাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইন্ড রাইটস-এর (NCPCR) চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্ক কানুনগোর। বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে বেসরকারি হোমের রেজিস্টারে থাকা ২৬টি নাবালিকা বেমালুম গায়েব! হোমের ডিরেক্টরকে প্রশ্ন করে মেলেনি কোনও সদুত্তর। শেষ পর্যন্ত এফআইআর দায়ের করে NCPCR। সদ্য প্রাক্তন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলছেন তিনি ২৬ নাবালিকার উধাও হওয়ার কথা জানতেন। অথচ NCPCR-এর পদক্ষেপের আগে কোনও হুঁশই ছিল না চৌহান পরিচালিত বিজেপি প্রশাসনের, নেওয়া হয়নি কোনও পদক্ষেপ।

মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালের (Bhopal) শহরতলিতে পরওয়ালিয়ায় এনজিও-র নামে রেজিস্ট্রেশন করা একটি হোম আঁচল গার্লস হোস্টেল। প্রশাসন এই সংস্থাকে এনজিও-র ছাড়পত্র দিয়ে থাকলেও হোম চালানোর কোনও অনুমতিই নেই তাদের, দেখা যায় NCPCR-এর তদন্তে। শুক্রবার কমিশনের চেয়ারম্যান সহ আধিকারিকরা হোমে গিয়েই আবাসিকদের রেজিস্টার খাতা মিলিয়ে দেখেন। তাতে ৬৮ জন নাবালিকার নাম থাকলেও দেখা যায় এক বা দুই নয়, একেবারে ২৬ জন নাবালিকা নিখোঁজ।

হোমের কর্ণধার অনিল ম্যাথু এই নাবালিকাদের মধ্যপ্রদেশের বাইরে থেকেও ফুটপাথ থেকে উদ্ধার করে আনার দাবি করেন। রাজস্থান, গুজরাট, ঝাড়খণ্ডের নাবালিকারাও রয়েছে সেখানে। হোমেই তাদের ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করা হয়েছে এমনটা উঠে আসে কমিশনের তদন্তে। কিন্তু এই বিষয়টিতে কতটা উদাসীন মধ্যপ্রদেশ সরকার তা চেয়ারম্যান কানুনগোর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টেই প্রমাণিত, যেখানে তিনি লিখেছেন ২৬টি নাবালিকার নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার এফআইআর (FIR) দায়ের করতেও অনেকটাই কষ্ট করতে হয় পুলিশকে।

সেই সঙ্গে কমিশন আক্ষেপ প্রকাশ করে মধ্যপ্রদেশেরই নারী ও শিশু কল্যাণ বিভাগের পক্ষ থেকে এই সংস্থাকে এনজিও থেকে শিশুদের জন্য এই ধরনের হোমের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে চাইল্ড হেল্পলাইন (Child Helpline) চালানোর জন্য। অথচ হোম চালানোর লাইসেন্সই নেই তাঁদের। বিরোধী কংগ্রেসের প্রশ্ন যে নাবালিকাদের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না তারা শিশুপাচার (child trafficking) চক্রের শিকার নয় তো? সরকারি মদতে বেআইনি হোম খুলে নাবালিকা পাচারের তদন্তের দাবি করা হয়েছে।