ভারতের বাণিজ্যিক জাহাজে পাক-চিনের গুপ্তচর! স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

0
3

ভারতের বাণিজ্যিক জাহাজে নিয়োগ হচ্ছে পাকিস্তান, চিন থেকে! এই ঘটনায় দেশের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে বলে দাবি করে মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারীর দাবি, দেশের ‘মেরিটাইম ল’ বা সমুদ্র আইন অনুযায়ী ভারতীয় মার্চেন্ট নেভির জাহাজগুলিতে কাজের জন্য শুধুমাত্র ভারতীয়দের নিয়োগ করার আইন রয়েছে। কোনও বিদেশি নাগরিককে এখানে নিয়োগ করা যায় না। কিন্তু দেখা গেছে, হোয়াটসঅ্যাপে ইন্টারভিউয়ের ভুয়ো ফাঁদ পেতে গোপনে পাকিস্তান, চিন, ইরান, ইয়েমেন থেকে লোকজনকে নিয়োগ করা হচ্ছে। যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট।

হাইকোর্টে মামলাকারির আইনজীবীর দাবি, মার্চেন্ট নেভিতে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে হয়। সেখানে দেখা গেছে হোয়াটসঅ্যাপে ইন্টারভিউ হচ্ছে। ভারতীয় জাহাজগুলিতে কর্মী নিয়োগের জন্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত সংস্থা বা ‘ইন্ডিয়ান রিক্রুট অ্যান্ড প্লেসমেন্ট সার্ভিসেস লাইসেন্স হোল্ডাররা’ হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ইন্টারভিউ নিচ্ছে। চিন, পাকিস্তান থেকে নিয়োগ করা হচ্ছে। আইনজীবীর দাবি, ভারতের বাণিজ্যিক জাহাজগুলিতে চরবৃত্তির জন্যই এই ভুয়ো নিয়োগপ্রক্রিয়া চলছে। মামলাকারীর আরও দাবি, ভারতীয় হওয়ার কারণে ভারতীয় জলসীমায় জাহাজগুলির প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকার কথা নয়। আর সেই সুবাদে জাহাজগুলিতে নিয়োগপ্রাপ্ত বিদেশি নাগরিকরাও সহজে এদেশে প্রবেশের ছাড়পত্র পেয়ে যাবে। ইউএপিএ ধারায় মামলা দায়ের করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএকে বিষয়টি তদন্ত করে দেখার অনুরোধ জানানো হয়েছে। মামলার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলকে গোটা বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বলেছে আদালত। বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে তিন সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে আদালতের তরফে।

উল্লেখ্য, এর আগে ভারতের সেনাবাহিনীতে পাকিস্তান থেকে আসা লোক কাজ করছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। ব্যারাকপুরের সেনা ছাউনিতে দু’জন পাক নাগরিককে ধরা হয়েছিল। অভিযোগ, পাকিস্তান থেকে এসে তাঁরা ভারতীয় সেনায় যোগ দিয়েছেন। সরকারি পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁদের নিয়োগও হয়েছে। ওই পরীক্ষায় প্রয়োজনীয় নথিপত্র জাল করে চাকরি পেয়েছেন তাঁরা। এই ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছিল হাইকোর্টে। এবার প্রকাশ্যে এলো আরও বিস্ফোরক অভিযোগ।