চাইনিজ খাবার (chinese food) প্রিয় মানুষের পছন্দের তালিকায় অন্যতম নাম চাউম্যান (Chowman)রেস্টুরেন্ট।এই রেস্তোঁরার মুকুটে যুক্ত হল নয়া পালক। এবার থেকে আইআইএম-এর ছাত্র-ছাত্রীরা চাউম্যানের ইতিহাস পড়বেন তাঁদের পাঠ্যসূচিতে। শুক্রবার এমন কথাই জানান চাউম্যানের কর্ণধার দেবাদিত্য চৌধুরী(Debaditya Choudhury)। কীভাবে কলকাতা ও শহরের বাইরে এই রেস্তোরাঁ নিজেদের বিস্তার করল এবং ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে ‘চাউম্যান’ (Chowman) ঠিক কোন কোন দিককে গুরুত্ব দেয় সেই সবকিছুই IIM সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত হল।
বর্তমান প্রজন্ম যেভাবে ফাস্ট ফুডের দিকে আগ্রহ প্রকাশ করছে তাতে চাইনিজ খাবারের জনপ্রিয়তা বেশ চোখে পড়ার মতো। এই বিষয়টাকে মাথায় রেখে চাউম্যান নিজেদের সেরা প্রিপারেশন সকলের সামনে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। এই রেস্টুরেন্টের কর্মপদ্ধতি এবং স্ট্র্যাটেজিক গ্রোথ থেকে শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন বলেই মনে করেন প্রফেসর সরভানা জয়কুমার। শহরের অলিগলিতে চাউমিনের দোকানের ছড়াছড়ি কিন্তু আমজনতাকে চিনা চাউমিন (Noodles ) ফাইন ডাইনিং-এ বসিয়ে খাওয়ানোর স্বপ্ন সত্যি করেছেন দেবাদিত্য। ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে। লক্ষ্মীছাড়া ব্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার সুবাদে এখানে ওখানে অনুষ্ঠানের মাঝেই বিভিন্ন জায়গায় খাবার চেখে দেখতেন। ছোট্ট হলেও নিজের একটা রেস্টুরেন্ট খোলার স্বপ্ন থাকলেও পকেটে জোর না থাকায় দেবাদিত্য সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। রেস্তোঁরার সরঞ্জাম কোথা থেকে আসবে কিংবা অন্দরমহলের সাজসজ্জা কী রকম হবে তা আগে থেকেই ভেবে রেখেছিলেন। এমনকি মেনুও ঠিক করা ছিল। এরপর গল্ফ ক্লাব রোডের একটা ফাঁকা জায়গায় রেস্টুরেন্ট খোলার সাহস দেখিয়েছিলেন। আর পিছনে তাকাতে হয়নি চাউম্যানকে। সেই কাহিনী এবার পড়বেন আইআইএমের পড়ুয়ারা।