গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে সন্দেশখালিতে পিছু হটল ED!

0
1

লোকসভা নির্বাচন (Parliament Election) যত এগিয়ে আসছে ততই বিরোধীদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ‘অতিসক্রিয়তা’ বাড়ছে। এদিন সাত সকালে সন্দেশখালিতে উত্তর চব্বিশ পরগনার মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ শাহজাহান শেখের (Shahjahan Sheikh) বাড়িতে পৌঁছে যান কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা। সুখের খবর সেই সময় বাড়ি তালা বন্ধ থাকায় CRPF জওয়ানরা তালা ভেঙে জোর করে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন গ্রামবাসীরা। গোটা ঘটনার প্রতিবাদ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এমনকি তাঁদের তাড়া খেয়ে কার্যত পিছু হটতে বাধ্য হয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED ) আধিকারিকরা। সন্দেশখালির এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বছরের শুরু থেকেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অভিযানের নামে বিজেপি নেতাদের ইশারায় চলছে ইডি (ED)। তৃণমূল নেতাকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্য নিয়েই ইডি এখানে এসেছিল বলে দাবি করছেন গ্রামবাসীরা। আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা। প্রশ্ন উঠছে কেন বারবার এজেন্সি আগে থেকে কিছু না জানিয়ে সাত সকালে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা মন্ত্রীদের বাড়িতে গিয়ে এভাবে প্ররোচনামূলক পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে?

সাম্প্রতিক অতীতেও বারবার দেখা গেছে যে কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা কখনও ঘাসফুল শিবিরের নেতা-মন্ত্রীদের বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছেন কাউকে কিছু না জানিয়ে, আবার কখনও মধ্যরাত পর্যন্ত ‘তল্লাশি’র নামে হয়রান করা হচ্ছে বাড়ির সদস্যদের। শাসক দল এই বিষয় প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ তুলেছে। পাশাপাশি সন্দেশখালির ঘটনা যে প্ররোচনামূলক সেদিকেও ইঙ্গিত করা হয়েছে।

শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের শঙ্কর আঢ্যের শ্বশুরবাড়িতেও পৌঁছে যান ইডি আধিকারিকরা। পাশাপাশি রেশন মামলায় খোঁজ খবর করতে কিছুক্ষণ আগেই সিঁথিতে ব্যবসায়ীর গোপাল বনিক বাড়িতে পৌঁছেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। একযোগে সকাল থেকে প্রায় ১২টি জায়গায় তল্লাশিতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।