মালিকরা নরম হলেও এখনও নিজেদের অবস্থান অনড় ট্রাক চালকরা

0
1

এখনও মেলেনি সমাধানসূত্র। তবে চাপের মুখে অনেকটাই পিছু হটেছে কেন্দ্রই! ভারতীয় ন্যায় সংহিতা নয়া আইনে ‘বিতর্কিত ধারা বহাল হবে না, আইনটি এখনও কার্যকর করা হয়নি। ইউনিয়নের সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে’। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর এমনটাই দাবি করেছিলেন ইউনিয়ন নেতারা। তবে না আঁচালে বিশ্বাস নেই, তাই দেশজুড়ে এখনও ধর্মঘট পুরোপুরি তুলে নেওয়ার কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেনি ক্ষুদ্ধ ট্রাক চালকদের সংগঠনগুলি।

প্রাথমিকভাবে ৭২ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। তবে সরকার পদক্ষেপ না করলে লাগাতার ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি। সেই অবস্থানে এখনও অনড় ট্রাক চালকরা। কারণ, ‘হিট অ্যান্ড রান’ আইনে এতদিন ২ বছরের সাজা হত। কিন্তু নয়া আইনে এবার ১০ বছরের সাজা পেতে হবে অভিযুক্তদের। এমনকী, জরিমানা অংকও বেড়ে ৭ লক্ষ পর্যন্ত টাকা করা হয়েছে।

ট্রাক চালকদের অভিযোগ, দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে পথচারীদের গাফিলতি থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বড় গাড়িগুলির চালকদের বিরুদ্ধেই মামলা রুজু করা হয়। হিট অ্যান্ড রানের আইন সংশোধনের জেরে তাদের সঙ্গে চূড়ান্ত অন্যায় হচ্ছে বলেই মনে করছেন ট্রাক মালিক সংগঠনগুলি। তাদের দাবি, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার জেরে চালকরাও আহত হন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাইওয়েতে স্টিয়ারিংয়ে বসেন তারা। ফলে শাস্তি বাড়িতে তাদের জীবিকা নির্বাহ করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে।

এই ধর্মঘটের প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার উপরও। রান্নার গ্যাস থেকে শুরু করে মাছ, মাংস, ফল, সবজি থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় সমস্ত জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশজুড়ে ব্যাপক ট্রাফিক জ্যাম। পেট্রল পাম্পে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইন দিয়েও মিলছে না তেল। শীতের মরশুমে প্রভাব পড়েছে পর্যটনেও। ছোট-বড় মিলিয়ে পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে বড় বড় ট্রাক অন্যতম মাধ্যম। সমস্যায় পড়েছে আমজনতা।

পরিস্থিতি বিচার করে কিছুটা নরম মনোভাব দেখাতে পারেন ট্রাক চালকরা। তবে এই ঘটনার প্রভাব লোকসভা ভোটে যে বিজেপির বিপক্ষে যাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।