চাপের মুখে অনেকটা পিছু হটেছে কেন্দ্র! ভারতীয় ন্যায় সংহিতা নয়া আইনে ‘বিতর্কিত ধারা বহাল হবে না, আইনটি এখনও কার্যকর করা হয়নি। সবার সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর এমনটাই দাবি ইউনিয়ন নেতৃত্বের।
তবে এই আস্বাসের পরেও না আঁচালে বিশ্বাস নেই, তাই দেশজুড়ে এখনও ধর্মঘট পুরোপুরি তুলে নেওয়ার কোনও ঘোষণা করেনি ক্ষুব্ধ ট্রাক সংগঠনগুলি । প্রাথমিকভাবে ৭২ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন । তবে সরকার পদক্ষেপ না করলে লাগাতার ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি। সেই অবস্থানে এখনও অনড় । কারণ, ‘হিট অ্যান্ড রান’ আইনে এতদিন ২ বছরের সাজা হত।কিন্তু নয়া আইনে এবার ১০ বছরের সাজা। পেতে হবে । এমনকী, ত অঙ্কও বেড়ে ৭ লক্ষ পর্যন্ত টাকা নি করা হয়েছে। অভিযোগ, দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে পথচারীদের গাফিলতি ম থাকলেও ক্ষেত্রে বড় চালকদের বিরুদ্ধেই মামলা রুজু করা হয়। হিট অ্যান্ড রানের আইন জেরে তাদের সঙ্গে চূড়ান্ত অন্যায় হচ্ছে বলেই মনে করছেন ট্রাক মালিক । তাদের দাবি, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার জেরে চালকরাও আহত হন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসেন তাঁরা। ফলে শাস্তি বাড়লে তাঁদের জীবিকা নির্বাহ করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে। এই ধর্মঘটের প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষের উপরও। রান্নার গ্যাস থেকে শুরু করে মাছ, মাংস, ফল, সবজি থেকে শুরু করে সমস্ত জিনিসপত্রের আশঙ্কা করা ও হচ্ছে।
দেশজুড়ে ব্যাপক ট্রাফিক জ্যাম। পেট্রোল পাম্পে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইন দিয়েও মিলছে না তেল। শীতের মরশুমে প্রভাব পড়েছে পর্যটনেও।