গুরুগ্রামের (Gurugram) সিটি পয়েন্ট হোটেলে (City Point Hotel) খুন (Murder) বছর ২৭-এর মডেল (Model) দিব্যা পাহুজা (Divya Pahuja)। পাঞ্জাবি এই মডেলকে খুনের অভিযোগ, হোটেল মালিক অভিজিৎ সিংয়ের(Abhijit Singh) বিরুদ্ধে। এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, দিব্যার মৃতদেহ পাচারের জন্য সহযোগীদের ১০ লাখ টাকা দেয় অভিজিৎ। ইতিমধ্যে মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সেক্টর ১৪ থানার পুলিশ। তবে খুনের পর দীর্ঘ ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও মডেল দিব্যার দেহ এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। আর তা নিয়েই রহস্য আরও দানা বাঁধছে। এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, শুধু দিব্যার দেহই নয়, হদিশ মিলছে না তাঁর মোবাইল ফোনেরও।
তবে এখানেই শেষ নয়, হরিয়ানা পুলিশ আরও জানিয়েছে খুনের পর যে গাড়ি করে তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেই গাড়িরও কোনও হদিশ এখনও পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, অভিযুক্তরা দিব্যার দেহ পাঞ্জাবের ঘর্ঘরা নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে। তবে যে রাস্তা দিয়ে দিব্যার দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে, পুলিশ সেই সব রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছে। এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, সন্দীপ গাদোলি নামক এক গ্যাংস্টারের ভুয়ো এনকাউন্টার মামলায় বিগত ৭ বছর ধরে জেলে ছিল দিব্যা। ২০১৬ সালে গ্যাংস্টার সন্দীপ গাদোলির ভুয়ো এনকাউন্টার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিল এই মডেল। এই দিব্যা নাকি মধুচক্রে ফাঁসিয়ে নিজের গ্যাংস্টার বয়ফ্রেন্ডের ভুয়ো এনকাউন্টার করিয়েছিল। সেই মামলায় গ্রেফতারও হয়েছিল দিব্যা। তবে আপাতত জামিনে মুক্ত ছিল সে। আর তার মধ্যেই গত মঙ্গলবার রাতে গুরুগ্রামের একটি হোটেলে খুন মডেল দিব্যা।
পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় হোটেল মালিক অভিজিৎ দাবি করেছেন, দিব্যার মোবাইলে তাঁর অনেক অশ্লীল ছবি ছিল। সেই ছবি দেখিয়ে বার বার ব্ল্যাকমেল করতেন দিব্যা। তাঁর কাছে মোবাইলের পাসওয়ার্ডও চেয়েছিলেন অভিজিৎ। কিন্তু সেই পাসওয়ার্ড না দেওয়ায় দিব্যাকে গুলি করে খুন করেছেন। পাশাপাশি অভিজিৎ পুলিশের কাছে আরও দাবি করে, দিব্যার দেহ লোপাটের জন্য দুই সঙ্গীকে ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছিল সে। কিন্তু কোথায় সেই দেহ লোপাট করা হয়েছে, সেই তথ্য এখনও বার করতে পারেনি পুলিশ। এই ঘটনায় অভিজিৎ ছাড়াও তাঁর হোটেলের দুই কর্মী ওম প্রকাশ এবং হেমরাজকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।