লোকসভা নির্বাচনের আগে ফুলেফেঁপে উঠছে কোষাগার। বাকি রাজনৈতিক দলগুলিকে পেছনে ফেলে ইলেক্টোরাল ট্রাস্টের মাধ্যমে চাঁদার বেশিরভাগটাই গিয়েছে মোদি-শাহদের থলেতে। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে এমনই রিপোর্ট। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ২০২৩ সালে মোট চাঁদার ৭০ শতাংশই গিয়েছে বিজেপিতে। গেরুয়া শিবিরের পর চাঁদার নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে তেলেঙ্গানার ভারত রাষ্ট্র সমিতি। এবং তৃতীয় স্থানে নেমেছে কংগ্রেস।

অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস অর্থাৎ ADR-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে রাজনৈতিক দলগুলি ইলেক্টোরাল ট্রাস্টের মাধ্যমে চাঁদা বাবদ রোজগার করেছে ৩৬৩ কোটি টাকা। এই চাঁদা দিয়েছে মোট ৩৯টি কর্পোরেট সংস্থা। ADR-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সময়কালে শুধু ইলেক্টোরাল ট্রাস্টের মাধ্যমে যে চাঁদা উঠেছে তার ৭০ শতাংশ গিয়েছে বিজেপির ঘরে। বিজেপির প্রাপ্য টাকার পরিমাণ ২৫৯ কোটি ৮ লক্ষ টাকা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিআরএস-এর প্রাপ্য চাঁদা প্রায় ৯০ কোটি। কংগ্রেস, আপ এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেস মিলিয়ে পেয়েছে ১৭ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা।
কংগ্রেসের তহবিল ক্রমশ ফাঁকা হওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক মহলের দাবি, ২০১৪ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ধাপে ধাপে চাঁদার পরিমান কমেছে হাত শিবিরের। পাশাপাশি রাহুল গান্ধীর তরফে ক্রমাগত কর্পোরেটদের প্রতি আক্রমণ কংগ্রেসের কর্পোরেট চাঁদা আরও তলানিতে এনে ফেলেছে। অন্যদিকে, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই কর্পোরেটদের সঙ্গে সখ্য তৈরি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। যার সুফল এখনও পাচ্ছে বিজেপি। পাশাপাশি মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর কর্পোরেট চাঁদায় গোপনিয়তা আনতে নয়া নিয়ম বিজেপির জন্য আরও কার্যকর হয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন ইলেক্টোরাল ট্রাস্টের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলিকে চাঁদা দেয় কর্পোরেট সংস্থাগুলি। এর বাইরেও ইলেক্টোরাল বন্ড এবং সরাসরি চাঁদার মাধ্যমে বিপুল আয় করে রাজনৈতিক দলগুলি। সেই রোজগারের উৎস গোপন থাকে।










































































































































