সুখবর! মধু নিয়ে দড়ি টানাটানিতে জয় বাংলার, একাধিক সম্পদে জুড়ল GI ট্যাগ

0
1

ফের দেশের মধ্যে জয়জয়কার বাংলার (Bengal)। নতুন বছরের শুরুতেই পুনের সংস্থাকে হারিয়ে সুন্দরবনের মধু-র জিআই স্বত্ব (Geographical Indications) পেল বাংলা। সেই সঙ্গে বাংলার আরও চারটি শিল্পকে জিআই স্বত্ব (GI Tag) দেওয়া হয়েছে বলে খবর। সেই তালিকায় রয়েছে গরদ, করিয়াল, টাঙ্গাইল শাড়ি ও উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ির সুগন্ধি কালোনুনিয়া চাল। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের জিআই পোর্টালের স্ট্যাটাসে বুধবার থেকেই বাংলার নাম রেজিস্টার্ড দেখা যাচ্ছে। শংসাপত্র পেতে এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। খুব শীঘ্রই এই মর্মে কেন্দ্রের জিআই কর্তৃপক্ষ রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগকে চিঠি দিয়ে সুখবর জানাবে।

তবে একসঙ্গে বাংলার পাঁচ সম্পদ জিআই স্বত্ব পাওয়াকে সাফল্য হিসাবেই দেখছে রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ। বিশেষ করে সুন্দরবনের মধু-র জিআই স্বত্ব-র জন্য যেভাবে পুনের একটি সংস্থা আবেদন করে ওই প্রাকৃতিক মধুর একচেটিয়া ব্যবসা করতে চেয়েছিল। সেই জায়গায় বাংলা ওই তকমা অর্জন করায় বনদফতরের আওতাধীন পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগম বাংলার এই সাফল্যে রীতিমতো গর্বিত। কারণ পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগমের তত্ত্বাবধানেই সুন্দরবনের মউলিরা ওই মধু সংগ্রহ করেন। পরে নিগম তা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে বাজারে দীর্ঘকাল আগে বাজারে আনে। যা ‘মৌবন’ নামে পরিচিত।

এদিকে জিআই স্বত্ব পাওয়া উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ির কালো নুনিয়া চালকে ‘প্রিন্স অফ রাইস’ বলা হয়। ধানের রং কালো হলেও চাল কিন্তু একেবারে ধবধবে সাদা। পাশাপাশি কারিয়াল শাড়ি মুর্শিদাবাদের মির্জাপুরেই শুধু রয়েছে, যা বিশ্ব বিখ্যাত। তবে এই শাড়ি তৈরির শিল্পী ক্রমশই কমে আসছে। টাঙ্গাইল ও গরদ শাড়িরও সুনাম রয়েছে বাংলা ছাড়িয়ে ভিন রাজ্যেও।