২০১৫ সাল থেকে চলছিল সংসদ হানার ছক। ১৩ ডিসেম্বর অধিবেশন চলাকালীন লোকসভায় (Loksabha) হানার অভিযুক্তরা ২০১৫ থেকে পরিকল্পনা করছিলেন। এতদিন ধরে বিরোধীদের তোলা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতরের ব্যর্থতার অভিযোগেই সিলমোহর দিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

তদন্তে উঠে এসেছে, প্রধান অভিযুক্ত মনোরঞ্জন ডি এবং সাগর শর্মা যারা লোকসভার (Loksabha) ভিতরে ঝাঁপ দিয়েছিলেন, তাঁরা ছিলেন এই দলের প্রাথমিক সদস্য। পরে এতে যোগ দেন ললিত ঝা, নীলম এবং অমল শিন্ডে। আরও তিনজনকে, যাঁরা অনলাইন সামাজিক মাধ্যমে যুক্ত ছিল, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এর থেকেই স্পষ্ট রাজধানীতে, খোদ সংসদের ভিতরে প্রশাসনের নাকের ডগায় যেখানে সবথেকে নিরাপদ জায়গা হওয়া উচিত সেখানেই হামলা চালানোর পরিকল্পনা চলছিল গত আট বছর ধরে। অথচ ঘুণাক্ষরেও তা জানতে পারেনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব বিরোধীরা।

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তরা স্বীকার করেছেন যে তাঁরা পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার আগে বহুবার দেখা করেছেন। অভিযুক্তদের দাবি এই হামলার মাধ্যমে তাঁরা, সরকারকে তাদের দাবি পূরণে বাধ্য করতে চেয়েছিলেন।
পুলিশ অভিযুক্তদের “আসল উদ্দেশ্য” নিশ্চিত করতে পলিগ্রাফ পরীক্ষা করতে চেয়েছে এবং দিল্লির একজন অতিরিক্ত দায়রা বিচারক মঙ্গলবার এই দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন।
মনোরঞ্জন ডি এবং অপর দুই ব্যক্তি দিল্লির সদর বাজার থেকে তেরঙ্গা পতাকা কিনেছিলেন এবং তারপর ইন্ডিয়া গেটের কাছে একত্রিত হয়ে দলের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা উত্তরপ্রদেশের লখনউতে তৈরি দুই জোড়া জুতা ব্যবহার করেছিলেন, যেগুলির মধ্যে পার্লামেন্টের ভিতরে ধোঁয়ার ক্যানিস্টার নেওয়ার জন্য ব্যবহার করেছিলেন।
এদিকে, সিআরপিএফ ডিরেক্টর-জেনারেল অনীশ দয়াল সিংয়ের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি সংসদের নিরাপত্তার বিষয়গুলি খতিয়ে দেখে আগামী সপ্তাহে তাদের চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেবে।





































































































































