রাজ্যের বিভিন্ন রেশন দোকানগুলিতে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই খাদ্য দফতর বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালু করতে ইচ্ছুক রেশন ডিলারদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছে। সরকারি সূত্রে খবর দফতরের রেশনিং এবং ডিডিপিএস অধিকর্তাকে এ বিষয়ে উদ্যোগী হতে বলা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেলাগুলিতেও সংশোধিত ও বিধিবদ্ধ রেশন এলাকার আধিকারিকরা বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।


রাজ্যে বর্তমানে সাড়ে তিন হাজারের বেশি বাংলা সহায়তা কেন্দ্র রয়েছে। ছয় হাজারের কাছাকাছি রেশন দোকানে এই পরিষেবা চালু হলে আরও বহু সংখ্যক মানুষ উপকৃত হবেন বলে খাদ্য দফতরের তরফে মনে করা হচ্ছে। বিএসকে মারফত রাজ্য সরকারের ৪০টি দফতরের ৩২৩টি পরিষেবা অনলাইনে বিনামূল্যে পাওয়া যায়। রাজ্যে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে অনলাইন লেনদেনের পরিমাণ প্রায় ১০০ কোটি টাকা ছুঁয়ে ফেলেছে। এক বছরের মধ্যেই বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে এই অঙ্কের লেনদেন হয়েছে বলে নবান্নে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে। জানা গিয়েছে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে বিদ্যুতের বিল, খাজনা, মিউটেশন ফি, মোটর ভেহিকলস আইনের অধীনে জরিমানা জমা নেওয়ার পরিষেবা চালু হয়। এই সময়ে একদিনে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে সর্বোচ্চ লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ১৫লক্ষ টাকা। গ্রামাঞ্চলে সকলের হাতে স্মার্টফোন, ল্যাপটপ বা ইন্টারনেট সংযোগ নেই। অথচ, এখন বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেতে এখন অনলাইনে করতে হয়। বিভিন্ন দফরের ওয়েবসাইটে প্রয়োজনীয় তথ্যও থাকে। মূলত তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা থেকে বঞ্চিত মানুষের জন্যই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালু করেন। সরকারের নিজস্ব প্রকল্প এবং পরিষেবাগুলির নিবিড় প্রচার আরও সহজে করতেও এই বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলি কাজ করে চলেছে। সরকারি পরিষেবাগুলি যাতে দ্রুত বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছে যায় সেই লক্ষ্যে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে সাধারণ মানুষকে বিনামূল্য পরিষেবা দেওয়া হয়। এবার সেখানে অনলাইন পরিষেবা প্রদানেও নজির গড়তে চলেছে বাংলা।





































































































































