ধর্মীয় পর্যটনে গোটা দেশকে দিশা দেখাচ্ছে বাংলাই। বৃহস্পতিবার চাকলাধামে রাজ্যের এই সাফল্যের ছবি তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজ্যের ধর্মীয় পর্যটনের এই ব্যতিক্রমী প্রগতির নেপথ্যে আন্তরিক উদ্যোগের কথাও ব্যাখ্যা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তীর্থস্থানের উন্নয়নের জন্য এখনও পর্যন্ত ৪০০ কোটি টাকারও বেশি খরচ করেছে রাজ্য। লক্ষণীয়, রাজ্যে পর্যটনের এই নতুন দিগন্ত খুলে যাওয়ায় একদিকে যেমন সংশ্লিষ্ট এলাকার অর্থনৈতিক প্রগতির পথ মসৃণ হচ্ছে ঠিক তেমনি নিত্যনতুন কর্মসংস্থানের দরজা খুলে যাওয়ায় মানুষের অর্থনৈতিক বুনিয়াদও সুদৃঢ় হচ্ছে দ্রুত। এরই দিশা দেখাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এই প্রসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর, কালীঘাট থেকে শুরু করে গঙ্গাসাগরের উন্নয়নের ছবি তুলে ধরেছেন জননেত্রী। দক্ষিণেশ্বরের পরে কালীঘাট মন্দিরেও স্কাইওয়াক হচ্ছে। সামনেই গঙ্গাসাগর মেলা। চলছে নিখুঁত প্রস্তুতি। পরিকাঠামো উন্নয়ন রাজ্যের অগ্রাধিকারের শীর্ষে। আগে থাকারও জায়গা ছিল না গঙ্গাসাগরে। এখন ছবিটা সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ আসছেন, অনেকেই থাকছেন, স্নান করে পুজো দিয়ে ফিরে যাচ্ছেন নিরাপদে। এখানেই শেষ নয়, দিঘায় পুরীর মন্দিরের আদলে তৈরি হচ্ছে জগন্নাথ মন্দির। লক্ষণীয়, হুগলির মাহেশেও জগন্নাথ মন্দিরের উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য। সবচেয়ে দ্রুত প্রগতি হয়েছে তারাপীঠের। এখানকার ধর্মীয় পর্যটন মুখ্যমন্ত্রীর আন্তরিকতায় এক দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে। সব মিলিয়ে বাংলার ধর্মীয় পর্যটন দেশের বুকে নিঃসন্দেহে এক রোল মডেল।
আরও পড়ুন- দেশের মধ্যে কৃষিতে ব্যাপক সাফল্য, পুরস্কার স্বরূপ রাজ্যকে বিশেষ ‘ইনসেনটিভ’ দিতে চলেছে কেন্দ্র


 
 
 
 






























































































































