বিধানসভা ভোটের অনেক আগে থেকেই রাজস্থান কংগ্রেসের দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে ভোটের ফল প্রকাশের পরও মেটেনি গেহলট-পাইলট এর সেই দ্বন্দ্ব। তাই গত ৩ ডিসেম্বর ফল প্রকাশিত হয়ে নতুন সরকার শপথ নিয়ে নিলেও এখনও পর্যন্ত বিরোধী দলনেতা কে হবেন তা ঠিক করে উঠতে পারেনি কংগ্রেস নেতৃত্ব। এদিকে আগামী ১৫ জানুয়ারি শুরু হবে রাজস্থান বিধানসভার অধিবেশন । ছত্রিশগড়ের পরাজয়ের পর রাজস্থানের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শচীন পাইলটকে সেখানকার দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়েছে।

কংগ্রেসের একটি সূত্রের মতে যেমন অশোক গেহলটই রাজস্থানের বিরোধী দলনেতার পদের প্রধান দাবিদার। অন্যদিকে তেমন শচীন পাইলটকে ছত্তিশগড়ে পাঠানোয় পাইলট শিবিরের বক্তব্য, হাইকমান্ড এর সিদ্ধান্তেই স্পষ্ট রাজ্যের বাইরে অন্য রাজ্যেও পাইলটের প্রভাব রয়েছে। একইভাবে লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজস্থানের নিচুতলার নেতাদের ক্ষোভকে প্রশমিত করতে চেষ্টা করেননি বা ব্যর্থ হয়েছেন গেহলত এই অভিযোগও উঠেছে দলের অন্দরেই । ফলে জাতপাতের সমীকরণ মেলাতেও গাফিলতি হয়েছে বিধানসভা নির্বাচনে। যেমন গুর্জররা রাজস্থানে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে চলে গেছেন। যার ফল দেখা দিয়েছে ভোটের রেজাল্টে। সুতরাং দিল্লি ঘনিষ্ঠ অশোক গেহলত মুখ্যমন্ত্রীর পর বিরোধী দলনেতা হিসাবেও অনেকটাই পিছিয়ে থাকছেন বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। আবার বর্তমান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রধান গোবিন্দ সিং দোস্তারাও বিরোধী দলনেতার প্রতিযোগিতাতে রয়েছেন । অন্যদিকে আবার এবারের বিধানসভা নির্বাচনে জাঠ সম্প্রদায় সক্রিয়ভাবে বিজেপি বিরোধীতা করায় তাদের সম্প্রদায় থেকেও বিরোধী দলনেতা করার দাবি উঠেছে । পারস্পরিক এই চাপান উতোরের মাঝেই সবচেয়ে বড়ো প্রশ্ন রাজস্থানে বিরোধী দলনেতা কে হবেন।
আরও পড়ুন- হঠাৎ বাংলায় আসন সমঝোতা নিয়ে মন্তব্য ডালুর! জানেই না কংগ্রেস-তৃণমূল





































































































































