কোভিডের নয়া ভ্যারিয়েন্ট ঘিরে আতঙ্ক বাড়ছে। গত সপ্তাহে কলকাতায় পর পর দু’দিন ৮ কোভিড রোগীর সন্ধান মিলেছিল। যদিও জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী কোনও নমুনাতেই জেএন.১ পাওয়া যায়নি। কিন্তু উদ্বেগ কমছে না চিকিৎসকদের। নতুন করে আরও চার জনের দেহে এই ভাইরাসের উপস্থিতির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। ওই চার জনই শহরের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে একজন ৭২ বছরের বৃদ্ধাও রয়েছেন।


চিকিৎসকরা বলছেন কোভিড এই মুহূর্তে ততটা শক্তিশালী না হলেও অন্তত ২-৩ দিনের জ্বর – সর্দি- কাশির সমস্যা সকলের থাকছে। কিন্তু শিশু এবং বয়স্কদের হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজনীয়তা থাকছে। ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ৩ জন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। প্রত্যেকেই আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। যদিও হাসপাতাল সূত্রে খবর যে কোভিড নয়, অন্য রোগের কারণে আইসিইউতে রাখা হয়েছে তিন রোগীকে। চিকিৎসা চলাকালীন তাঁদের দেহে Covid 19-এর উপস্থিতি জানা যায়। প্রত্যেকেই সিনিয়র সিটিজেন। এআইআইএমএস প্রাক্তন ডিরেক্টর ও সিনিয়র পালমোনোলজিস্ট রণদীপ গুলেরিয়া বলছেন কোভিডের এই JN.1 প্রজাতিটি আরও অনেক বেশি সংক্রামক৷ এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে৷ এটি ক্রমে প্রধান ভ্যারিয়্যান্ট হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷ উপসর্গ হিসাবে দেখা দিচ্ছে জ্বর, ঠান্ডা লাগা, গলা ব্যাথা, নাক দিয়ে জ্বল পড়া ও গা ব্যাথা৷ ওমিক্রন ভাইরাসের একটি প্রজাতি হল জেএন ওয়ান৷ ইতিমধ্যে উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক ও মিজোরামের মতো একাধিক রাজ্যে একাধিক সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷ দেশে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে কোভিড আক্রান্তদের বাড়িতে ৭ দিনের আইসোলেশনে থাকা বাধ্যতামূলক করল কর্নাটক সরকার (Karnataka)। মঙ্গলবারই এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ৫২৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। ৬৩ জনের শরীরে নতুন ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান মিলেছে।





































































































































