নিছক রাজৈনিক বিষয় নিয়ে কুণাল ঘোষকে (Kunal Ghosh) ব্যক্তি-আক্রমণ করেছিলেন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া দলবদলু নেতা সজল ঘোষ (Sajal Ghosh)। এরপর কিছুক্ষণের মধ্যেই সজলের বাবা প্রদীপ ঘোষের (Pradip Ghosh) গ্রেফতারের কাহিনী স্মরণ করিয়ে ধুয়ে দিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল। তীব্র আক্রমণ করে তিনি বলেন, কংগ্রেস নেত্রী চিত্রা ঘোষের খুনের মামলায় প্রদীপ ঘোষ গ্রেফতার হন। সজল নিজেও গুন্ডামি, তোলাবাজি করে একাধিকবার জেলে গিয়েছেন। অন্যের জেলযাত্রা নিয়ে বলার আগে এই সব কথা যেন মনে রাখেন দলবদলু বিজেপি (BJP) নেতা।

কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান সুবল মান্নাকে পদ থেকে ইস্তফার নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল। দলবিরোধী কাজের জন্যেই এই নির্দেশ। এ প্রসঙ্গে বুধবার, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান যেভাবে শিশির অধিকারীকে প্রণাম করে গুরু বলেছেন, তা তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব ভালোভাবে নেয়নি। ওনাকে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে।” সুবল মান্নাকে আগেই শো-কজ করেছিল দল। এবার ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দলের তরফে। এরপরেই রাজনৈতিক সৌজন্যের ধুঁয়ো তুলে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেন সজল ঘোষ। এরপরেই সজলকে তুলোধনা করেন তৃণমূল মুখপাত্র। তিনি বলেন, বিজেপির নেতা যেন তাঁকে সৌজন্য শেখাতে না আসেন। কুণাল (Kunal Ghosh) জানান, গত বছর বড়দিনের সময় একটি অনুষ্ঠানে কুণালের সঙ্গে দাঁড়িয়েই সজল ঘোষ কেক খান। তারপরেই তৃণমুখপাত্রের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেন তিনি। পরে ফোন করে কুণালের কাছে ফোন করে ক্ষমা চেয়ে সজল বলেন, বিজেপি থেকে এই ঘটনার জন্য অত্যন্ত ভর্ৎসনা করা হয়। “আমাকেও তো বাঁচতে হবে দাদা!”- কাতর আর্জি ছিল সজলের বলে জানান কুণাল। সেই অডিও প্রকাশের কথা বলেন কুণাল ঘোষ।

ব্যক্তিগত আক্রমণের প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও খুনের মামলায় জেলে ছিলেন। সেই নিয়ে সজলের কী মনে হয়। এরপরেই কুণাল ঘোষের বিস্ফোরক দাবি। তিনি জানান, বন্ধুর বাড়িতে নৈশভোজের আসরে মদ্যপ অবস্থায় সেই বন্ধুর স্ত্রী কংগ্রেস নেত্রী চিত্র ঘোষকে গুলি করে মারেন সজলের বাবা প্রদীপ ঘোষ। চিত্রা প্রদীপের বান্ধবী ছিলেন বলে জানান কুণাল। সেই খুনের অভিযোগ রয়েছে সজলের বাবার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় গ্রেফতার হন তৎকালীন কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ঘোষ। কুণালের কথায়, মদ্যপ, লম্পটে ছেলে সজল ঘোষের অভ্যাস বাবার জেলে যাওয়া দেখা। নিজেও তোলাবাজি-গুন্ডামির জন্য জেলে গিয়েছে। অন্যের কারাবাস নিয়ে কথা বলার আগে তাঁর সেসব মনে রাখা উচিৎ।



 
 
 
 
































































































































