হরিণের মাংস খাওয়ার লোভ? গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে গভীর অসুখ

0
2

পূর্ব থেকে পশ্চিম – আবার গোটা বিশ্বে এক নতুন রোগের সতর্কবার্তা দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। বিশ্বের একটা বড় অংশের মানুষের প্রিয় হরিণের মাংস। আর সেই মাংস থেকেই ক্রমশ ক্ষয়কারী অসুখ বা ক্রনিক ওয়েস্টিং ডিজিজ (CWD) ছড়িয়ে পড়বে মানুষের শরীরে। সম্প্রতি আমেরিকায় একটি ন্যাশানাল পার্কে পাওয়া একটি হরিণের মৃতদেহ পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই আশঙ্কার কথা। প্রাণঘাতী (fatal) এই রোগে আক্রান্ত কোনও মানুষের উদাহরণ এখনও পাওয়া না গেলেও মানুষকে সতর্ক করছেন গবেষকরা।

সিডব্লুডি বা পোশাকি নাম জম্বি ডিয়ার ডিজিজ (Zombie Deer Disease), সাধারণত হরিণ, রেনডিয়ার, এল্ক এবং আমেরিকান হরিণের মধ্যে দেখা গিয়েছে। এই রোগ সরাসরি পশুর মস্তিষ্কে আক্রমণ করে। এই রোগে পশু ঝিমিয়ে পড়ে, দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, চোখে ঝাপসা দেখতে থাকে এবং ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়। তাই গবেষকরা একে প্রাণঘাতীই বলেন। কিন্তু এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু অনেক দেরিতে আসে। ক্রমশ ক্ষয় করে পশুদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয় এই রোগ। সম্প্রতি এই রোগে আক্রান্ত পশুর খোঁজ মিলেছে আমেরিকা, কানাডা, নরওয়ে এমনকি দক্ষিণ কোরিয়াতে।

সম্প্রতি আমেরিকার ইয়াওমিংয়ের ইয়েলোস্টোন ন্যাশানাল পার্কে (Yellowstone National Park) একটি হরিণের দেহাবশেষ পাওয়া যায়। পরীক্ষা করে দেখা যায় সেটি সিডব্লুডি আক্রান্ত। ইয়েলোস্টোন এলাকার এক গবেষকের তথ্য অনুযায়ী এই রোগ দ্রুত সংক্রামক এবং ছড়াতে পারে মানুষের শরীরেও। গোটা বিশ্বেই হরিণের মাংস খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। আবার যাতে কোনও মারণ রোগ গোটা বিশ্বে অন্ধকার না ডেকে আনে, তাই রোগগ্রস্থ পশুর মাংস খাওয়া থেকে সতর্ক করছেন গবেষকরা।