সকালে ঘুম থেকে উঠে সদর দরজা খুলতেই চোখ গেল বাড়ির পাঁচিলে। যা দেখলেন তা চোখ কচলিয়ে আবার দেখতে হল। কারণ বাড়ির পাঁচিলে আপনি বাঘের মাসি বা বিড়াল দেখতে অভ্যস্থ, বাঘ না।
মঙ্গলবার ভোর রাত, সূর্যের আলো তখনও ফোটেনি। শান্তশিষ্ট গ্রামের বাড়ির পাঁচিলে বিরাটাকার ডোরাকাটা বাঘ দেখতেই প্রায় অজ্ঞান উত্তরপ্রদেশের পিলিভিটের (Pilibhit) আটকোনা গ্রামের বাসিন্দারা। হাওয়ার বেগে গোটা গ্রামে রটে যায় বাঘ আসার খবর। শয়ে শয়ে গ্রামবাসী জড়ো হয় ‘বাঘ দেখতে’। বাঘিনী (tigress) তখন আরামে ঘুমাচ্ছে পাঁচিলে। দু একটা টর্চের আলো চোখে পড়তে চোখ বুজে শুধুই একটু হুঙ্কারে জানান দিল সে – আমি আছি। সকালের আলো ফুটতে মানুষের ভিড় বাড়লেও ঘুম ভাঙল না বাঘিনীর। বেলা ১০টা নাগাদ গ্রামে এলো বন দফতরের একটি দল।
বন দফতর লোকালয়ে বাঘিনী ও মানুষ দুপক্ষকেই নিরাপদ রাখতে ঘুম পাড়ানি গুলি ছোঁড়ে। আর তাতেই যেন ঘুম ভাঙল বাঘিনীর। পাঁচিলে উঠে দাঁড়িয়ে গা চুলকে, হাই তুলে সকলকে তাক লাগিয়ে দিল সে। গুলি খাওয়া বাঘিনী রীতিমত নাকাল করে দিল বন দফতরের কর্মীদের। তারপর অবশেষে খাঁচায় ভরা হয় অর্ধঘুমন্ত বাঘিনীকে।
আটকোনা গ্রাম থেকে মাত্র ২০ কিমি দূরে পিলিভিট টাইগার রিসার্ভ (Pilibhit Tiger Reserve)। বন দফতরের অনুমান সেখান থেকে কোনও কারণে গ্রামের দিকে চলে আসে এই বাঘিনী। তার স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর আবার রিজার্ভ ফরেস্টে ছাড়া হবে বলে জানান বন দফতরের আধিকারিকরা।