মুখে যতই ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ স্লোগান থাকুক না কেন, আসলে যে বিজেপি (BJP) শাসিত রাজ্যে নারীদের অবস্থা তলানিতে তা প্রমাণ করে দিল আসাম। ‘ডাইনি’ অপবাদে এক আদিবাসী মহিলাকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে শোণিতপুর জেলায়। অগ্নিদগ্ধ করার আগে রীতিমুক্ত কুপিয়ে মারা হয় ওই মহিলাকে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Assam police)।


বিজেপি শাসিত ডবল ইঞ্জিন রাজ্যে নারী সুরক্ষা থেকে নিরাপত্তা তলানিতে পৌঁছেছে। আসামের মতো রাজ্যে অশিক্ষা আর কুসংস্কারের প্রভাব এতটাই বেশি যে আদিবাসী মহিলাকে ‘ডাইনি’ অপবাদ দিয়ে তাঁকে চরম পরিণতির দিকে ঠেলে দেওয়া হল। মৃতার স্বামী জানিয়েছেন, বাড়িতে সাংসারিক কাজে ব্যস্ত ছিলেন তাঁর স্ত্রী। আচমকাই কয়েকজন চড়াও হয়ে হামলা চালায়।তাঁর স্ত্রীকে ‘ডাইনি’ অপবাদ দিয়ে মারধর শুরু করেন। মৃতার স্বামীকেও মাটিতে ফেলে মারা হয়। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য তেজপুর মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই বিষয়ে সে রাজ্যের পুলিশ জানিয়েছে যে, জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য ২০১৭ সালে গুয়াহাটি হাইকোর্ট রায় দেয়, ‘কোনও ব্যক্তিকে ডাইনি হিসাবে চিহ্নিত করা অপরাধ। এটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের মধ্যে পড়ে। যদি কেউ কোনও ব্যক্তিকে ডাইনি বলে অভিযুক্ত করে আক্রমণ করে। আর সেই আক্রমণের ফলে যদি তাঁর মৃত্যু হয়। তাহলে অভিযুক্তদের ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা অনুসারে শাস্তি দেওয়া হবে।’ এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই আইন থাকা সত্ত্বেও কী করে আসামে এমন ঘটনা ঘটল? সে রাজ্যের প্রশাসন এবং সরকার (BJP Government) কি চোখ বন্ধ করে বসে আছে, প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ। অনেকে বলছেন ওই মহিলা আদিবাসী সম্প্রদায়ের হওয়ার কারণেই তাঁর ওপর এমন আক্রমণ নেমে এসেছে। তবে যে বিজেপি নেতৃত্ব বারবার মহিলা ক্ষমতায়নের বড় বড় বুলি আওড়ান বিভিন্ন সভামঞ্চে, সেই সরকার শাসিত রাজ্যে নারীদের আসল অবস্থানটা ফের পরিষ্কার হয়ে গেল। উত্তরপ্রদেশ হোক কিংবা মধ্যপ্রদেশ অথবা আসাম, যেখানে বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকার সেখানেই প্রশ্নের মুখে নারী সুরক্ষা ও নিরাপত্তা।





































































































































