বেআইনি মদের কারবার আটকাতে রাজ্যের সীমানা পেরিয়ে উত্তরপ্রদেশে ঢোকার অভিযোগ উঠল বিহার পুলিশের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিহারের গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশের কয়েক জন কর্মী এবং আধিকারিক সীমানা পেরিয়ে উত্তরপ্রদেশের কুশীনগরে ঢুকে পড়েন। সেখানে স্থানীয় বাসিন্দাদের মদ কিনতে বাধা দেওয়া হয় বিহার পুলিশের তরফে। সেখানে এক যুবককে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে কুশীনগর জেলার স্থানীয় তমকুড়িরাজ থানার পুলিশকর্মীরা বাধা দেন। এই জেরে দুই রাজ্যের পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। উত্তাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসনের অভিযোগ, তাদের না জানিয়েই সীমানা টপকে অভিযান চালিয়েছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের পুলিশ। যা বেআইনি। বিহার পুলিশ যে গাড়িটিতে চড়ে সীমানা টপকে হানা দিতে এসেছিল, তাতে কোনও নম্বর প্লেট ছিল না বলেও অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সংক্রান্ত এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে ওই নম্বরহীন গাড়ির সামনে দু’রাজ্যের পুলিশ আধিকারিকরা উত্তেজিত ভাবে তর্ক করছেন।
প্রসঙ্গত, বিহারে মদ নিষিদ্ধ হয়েছিল ২০১৬ সালে। সে সময় জেডিইউ-বিজেপি জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নীতীশ। তিনি দাবি করেছিলেন, রাজ্যের মানুষকে সুস্থ ভবিষ্যৎ উপহার দিতে চান তিনি। তার পর কেটে গিয়েছে সাত বছর। কিন্তু বিহার আদৌ মদমুক্ত হয়নি। বিরোধীদের অভিযোগ, বিহারে রমরমিয়ে চলছে মদের কালোবাজারি। চলতি ভাষায়, ‘ব্ল্যাকে’ মদ বিক্রি। পড়শি দুই রাজ্য ঝাড়খণ্ড উত্তরপ্রদেশ থেকে চোরাপথে সীমানা পেরিয়ে বিহারে মদ আনা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাচক্রে, বিহার লাগোয়া উত্তরপ্রদেশ এবং ঝাড়খণ্ডের জনপদগুলিতে মদের দোকানের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেশি।