স্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যে বয়ান দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে সিআইডি! এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামী আইনজীবী প্রতাপচন্দ্র দে। বৃহস্পতিবার তাঁর অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিল সিআইডি। রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা বিবৃতি দিয়ে জানায়, জিজ্ঞাসাবাদের সব প্রক্রিয়া নিয়ম অনুযায়ী রেকর্ড করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে প্রতাপচন্দ্র দে’কে মানসিকভাবে হেনস্থা করা হয়নি। বরং তাঁকে সময় সময় চা-জল খেতে দেওয়া হয়েছে। তিনি যখন চেয়েছেন, তখনই ধূমপান করতে যাওয়ারও অনুমতি দিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা।
প্রসঙ্গত, অমৃতা সিনহার স্বামী প্রতাপচন্দ্র দে’র বিরুদ্ধে একটি মামলায় প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছে। এক বৃদ্ধা তাঁর নামে এই মামলা করেছিলেন। বৃদ্ধার অভিযোগ ছিল, সম্পত্তি বিবাদ সংক্রান্ত মামলায় অন্যায়ভাবে তাঁকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত এবং উচ্ছেদ করা হয়েছে। সেই মামলায় তদন্তকারীদের উপর প্রভাব খাটিয়ে ছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামী।
মামলাটি এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। এই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে দেশের দেশের শীর্ষ আদালত। সিআইডি ইতিমধ্যেই এই মামলার তদন্তে ৩ বার প্রতাপচন্দ্র দে’কে ভবানীভবনে তলব করেছিল। দু’বার হাজিরা দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার ফের হাজিরা দেওয়ার কথা রয়েছে প্রতাপচন্দ্র দে’র। তবে তার আগেই সিআইডি বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি।
বিচারপতির স্বামীর অভিযোগ, যে মামলা তদন্তের জন্য তাঁকে তলব করা হচ্ছে, সে প্রসঙ্গে প্রশ্নও করা হচ্ছে না। পরিবর্তে তাঁর স্ত্রীর বিষয়ে নানা তথ্য জানার চেষ্টা করছে তদন্তকারীরা। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নামে জোর করে মিথ্যা বয়ান দেওয়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এমনকী মিথ্যে বয়ান দেওয়ার জন্য চাপও দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন প্রতাপচন্দ্র দে।
অন্যদিকে সিআইডি’র দাবি, প্রতাপচন্দ্র দে যে অভিযোগ করেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। গত ১ ও ১৬ ডিসেম্বর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল প্রতাপকে। তবে দু’দিনই তিনি নির্ধারিত সময়ের পরে এসেছেন। তিনি যে দেরিতে আসবেন, তাও সিআইডিকে জানানো হয়নি। টানা জেরা করা হয়নি তাঁকে। বিরতি দেওয়া হয়েছিল। সিআইডি আরও দাবি করেছে, পুরো জেরা প্রক্রিয়া অডিও-ভিডিও রেকর্ড করা হয়েছে। যে মামলার তদন্তের ভিত্তিতে প্রতাপকে ডাকা হয়েছিল, সেই মামলা সংক্রান্তই প্রশ্ন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাঁকে চা- জল দেওয়া হয়েছে। ধূমপান করতে যাওয়ার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে। সিআইডি-র অভিযোগ, তাদের সংস্থাকে দুর্নাম এবং মর্যাদাহানি করতেই প্রতাপচন্দ্র দে এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন।





































































































































