হাওড়ার ইছাপুর ড্রেনেজ ক্যানেল রোড সংলগ্ন বস্তি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে পুড়ে যাওয়া ঝুপড়ির বাসিন্দাদের নতুন ঘর তৈরি করে দেবে রাজ্য সরকার। সেইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার পিছু রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফে ১৫ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার আগুনে পুড়ে যাওয়া বস্তি এলাকা পরিদর্শনে এসে একথা জানিয়েছেন পুরমন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন এলাকার বিধায়ক ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি, হাওড়ার মুখ্য পুর প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী, জেলাশাসক দিপাপ প্রিয়া পি, নগরপাল প্রবীণ ত্রিপাঠী সহ আরও অনেকে।
এদিন দুপুরে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ড্রেনেজ ক্যানেল রোডে আগুনে পুড়ে যাওয়া বস্তি পরিদর্শনে গিয়ে গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের পাশে থেকে সাহায্যের আশ্বাস দেন। মন্ত্রী বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্থ পরিবরাগুলিকে দ্রুত নতুন ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে। সবাইকে রড ও টিনের ছাউনি দেওয়া ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে। এদিন থেকেই কাজ শুরু হয়ে গেছে। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ সমস্ত পরিবারই নতুন ঘর পেয়ে যাবেন। যতদিন না তাঁদের নতুন ঘর তৈরি হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থরা ইছাপুর স্কুলে থাকবেন। প্রশাসনের তরফে সেখানেই তাঁদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। এরই সঙ্গে প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে ১৫ হাজার টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
প্রশাসনের তরফে আপাতত ৪১টি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের নামের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও আরও কোনও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঝুপড়িতে এর আগে বাঁশ ও প্লাস্টিক দিয়ে ঘর ছিল। এবার লোহার ও টিনের চালের অনেক পাকাপোক্ত ঘর তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে শৌচাগারও করে দেওয়া হচ্ছে। বুধবার ক্ষতিগ্রস্থদের পুর্ণবাসন দেওয়া নিয়ে হাওড় পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি। সেখানে ক্ষতিগ্রস্থদের পুর্ণবাসন কিভাবে দেওয়া হবে তার রূপরেখা তৈরি করা হয়েছিল। এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বৃহস্পতিবার আগুনে পুড়ে যাওয়া বস্তি পরিদর্শনে আসেন। সেইসঙ্গে নতুনভাবে বাড়ি তৈরির কাজের সূচনাও করে দেন তিনি। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, ‘১৫ দিনের মধ্যে সমস্ত ঘর তৈরি করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সবাই নতুন ঘরে যাবেন। সেই লক্ষ্যেই জোরকদমে কাজ শুরু হয়ে গেল।’