দুর্নীতির দায়ে জেলযাত্রা থেকে বাঁচতে দলবদলে আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। অমিত শাহের ওয়াশিং মেশিনে সাফ গেরুয়া একুশের বিধানসভা ভোটে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। মমতা ঝড়ে সে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। আর সেই হতাশা থেকে কার্যত মানসিক রোগে আক্রান্ত সারদা-নারদায় অভিযুক্ত রেজিস্টার তোলাবাজ শুভেন্দু অধিকারী। রাজনীতিতে পেরে না উঠে, মানুষের রায়ে গোহারা হেরে একের পর এক নাটক করে চলেছেন শুভেন্দু। বাংলার গরিব মানুষকে ভাতে মারার অপচেষ্টা থেকে এবার শীতের মরশুমে সার্কাস দেখাতে শুরু করেছেন তিনি।
ধ্বংসাত্মক রাজনীতির পথে হাঁটতে হাঁটতে বুধবার আচমকা রাজ্য সরকারের সদর দফতর নবান্নে হাজির শুভেন্দু। দিল্লিতে যখন গরিব মানুষের ন্যায্য পাওনা আদায়ে দলীয় সাংসদদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঠিক তখনই কুৎসা-অপপ্রচারের ঝুলি নিয়ে নবান্নে একপ্রস্থ নাটক দেখালেন বিরোধী দলনেতা। দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর ইতিবাচক বৈঠক থেকে নজর ঘোরাতেই যে তাঁর লোকহাসানো এই নাটক, তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি রাজ্যবাসীর। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে, রাজনীতিতে গোহারা হেরে স্টান্ট দিতে গিয়ে ডাহা ফেল নন্দীগ্রামের “লোডশেডিং” বিধায়ক!
দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের মধ্যেই বুধবার সকালে আচমকা নবান্নে হাজির রাজ্যের বিরোধী দলনমেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে শুভেন্দুর এই নাটকে সায় ছিল না বিজেপির একাংশের। তাই নাটক দেখানোর সঙ্গী হিসেবে দলের মাত্র তিনজনকে পাশে পেয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। বিজেপর তিন বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি, শঙ্কর ঘোষ এবং বিশাল লামাকে নিয়ে নবান্নে ঢুকে পড়েন। এবং ফিল্মি কায়দায় উপস্থিত সংবাদ মাধ্যমের সামনে হাস্যকর নাটকের সংলাপ আওড়াতে থাকেন।
প্রায় আধ ঘণ্টার নাটক শেষে নবান্ন থেকে বেরিয়ে আসেন শুভেন্দু এবং বিজেপির তিন বিধায়ক। শুভেন্দু উদ্দেশ্যে স্পষ্ট, গোহারা হারের হতাশা থেকেই পাগলামি করছেন শুভেন্দু, সেটা এদিন ফের পরিষ্কার হয়ে যায়। বাংলার গরিব মানুষ বিজেপি থেকে মুখ ফিরিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নেই আস্থা-ভরসা রাজ্যবাসীর।
এদিন তাঁর কীর্তি-কলাপে তৃণমূলের দাবীতেই সিলমোহর পড়ল। বাংলা দেখলো গরিব মানুষকে ভাতে মারার সমস্ত অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন শুভেন্দু। তিনি যে বাংলা বিরোধী, সেটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে গেল তাঁর নবান্ন নাটকে।