শিক্ষার অধিকারের ফি প্রদান না করা নিয়ে মহারাষ্ট্রের বিজেপি জোট সরকার এবং বেসরকারী স্কুলগুলির মধ্যে বিরোধের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার মুখে দাঁড়িয়েছে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পড়ুয়ারা। শিক্ষার অধিকার আইন ২০০৯ অনুসারে, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক স্তর থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত বেসরকারি স্কুলে ভর্তি হতে পারে। বেসরকারী স্কুলে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত আসন এইভাবে পূরণ করা হয়। সরকার এসব শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার খরচ বহন করে এবং সে অনুযায়ী বেসরকারি স্কুলগুলিকে ভর্তুকি দিয়ে থাকে। কিন্তু সমস্যা হল, মহারাষ্ট্র সরকার বেশিরভাগ স্কুলকে তিন থেকে চার বছরেরও বেশি সময় ধরে শিক্ষার অধিকার আইনের অধীনে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য ফি পরিশোধ করেনি। এর ফলে ছোট বেসরকারি স্কুলগুলি আর্থিকসংকট মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে, অন্যরা শিক্ষার অধিকার আইনের অধীনে ভর্তি বয়কট করার হুমকি দিয়েছে। প্রতিবাদ ও চিঠি থেকে শুরু করে আদালতে মামলা পর্যন্ত, বেসরকারি স্কুলগুলি তাদের প্রাপ্য ফি নিয়ে বিভিন্নভাবে রাজ্য সরকারের উপর চাপ দিচ্ছে।
কোলহাপুর, সাতারা, ঔরঙ্গাবাদ এবং রাজ্যের অন্যান্য অংশ থেকে প্রায় ৫০ টি বেসরকারি অনুদানপ্রাপ্ত স্কুল চার বছর পর্যন্ত শিক্ষার অধিকার আইনের অধীনে সরকারের কাছ থেকে প্রাপ্য টাকা আদায়ের জন্য বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করেছে। বম্বে হাইকোর্ট সরকারকে ২০১৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত মুলতুবি থাকা অর্থ ৬ সপ্তাহের মধ্যে পরিশোধ করার নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্য জুড়ে বেসরকারী স্কুলগুলিতে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ৮২,৭৭২ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল। ২০২২-২০২৩ সালে, ৪,৭৯,৬৫৯ জন শিক্ষার্থী বেসরকারি বা অনুদানবিহীন স্কুলে ভর্তি হয়েছিল। আগের বছরগুলিতে শিক্ষার অধিকার আইনের আওতায় ছাত্রদের সংখ্যা ছিল ৪,৩৬,৬৬৮ (২০২১-২২),৩,৮৬,৮৫৪(২০২০-২১), ৩,১৩,৩৭২ (২০১৯-২০) এবং ২,৫৪,৩৫১(২০১৮-১৯)৷
রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের ডাইরেক্টর শরদ গোসাভি বলেছেন, আমরা ২০১২ থেকে ২০২১-২০২২ পর্যন্ত বাকি টাকা সম্পর্কে জেলা-ভিত্তিক এবং স্কুল-ভিত্তিক ডেটা সংগ্রহ করেছি এবং এর জন্য রাজ্য সরকারের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠাচ্ছি। তবে আটকে থাকা টাকার পরিমাণ কমপক্ষে ১ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
আরও পড়ুন- দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে হার ভারতের, প্রোটিয়াদের কাছে ৮ উইকেটে হারল টিম ইন্ডিয়া