হাতে আর মাত্র ৫ দিন। আগামী রবিবারেই কলকাতায় লক্ষ কন্ঠে উচ্চারিত হবে গীতার শ্লোক। উপস্থিত থাকবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগে পুরোদমে চলছে মাঠ সাজানোর কাজ। প্রধানমন্ত্রী সহ একাধিক বিশেষ ব্যক্তিত্ব যেমন উপস্থিত থাকবেন, তেমনই উপস্থিত থাকবেন বহু সাধু-সন্ত। আগামী ২৪ ডিসেম্বর ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদ, সংস্কৃতি সংসদ ও মতিলাল ভারত তীর্থ সেবা মিশন আশ্রমের মতো একাধিক সংগঠন।
কিন্তু শেষ মূহুর্তে কর্মসূচিতে বদল আনতে হচ্ছে আয়োজকদের। কারণ, আদৌ সেদিন ব্রিগেড ভরা নিয়ে সংশয়ে আয়োজকরা।তাই কর্মসূচিতে কাটছাঁট করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। মোদি নিজে গীতার পছন্দের একটি অধ্যায় পাঠ করবেন বলে জানিয়েছেন। গীতাপাঠের পরে মোদির বক্তৃতা এবং প্রস্থান। আয়োজকরা মনে করছেন, মোদি চলে যাওয়ার পরে সমাগম ধরে রাখা সম্ভব নয়। তাই কর্মসূচিতে কাটছাঁটের সিদ্ধান্ত।
প্রথমে ঠিক হয়েছিল, ব্রিগেড ময়দানে গীতার প্রথম, দ্বিতীয়, দ্বাদশ, পঞ্চদশ এবং অষ্টাদশ অধ্যায় সমবেত কণ্ঠে পাঠ করা হবে। ১৮ অধ্যায়ের মধ্যে পাঁচটি বেছে নেওয়ার কারণও জানিয়েছিলেন আয়োজকরা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে মোদির সফরের যে সূচি পাওয়া গিয়েছে তাতেই কর্মসূচিতে বদল আনতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। ঠিক ছিল গীতার মোট ২৩৭টি শ্লোক সমবেত কণ্ঠে পাঠ করা হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৭৮টি শ্লোক পাঠ না-ও করা হতে পারে।
আসলে প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে, মোদি মঞ্চে আসবেন সাড়ে ১১টা নাগাদ। তিনি গীতার পঞ্চদশ অধ্যায়ের পুরুষোত্তম যোগের ২০টি শ্লোক আবৃত্তি করবেন। এর পরে মোদির প্রস্থান।আয়োজকরা চান, তার আগে প্রধানমন্ত্রী যেন এই অনুষ্ঠান নিয়ে কিছু কথা বলেন। সব মিলিয়ে এক ঘণ্টা মোদি মঞ্চে থাকবেন। তার বক্তৃতার পরে সকলেই চলে যেতে চাইবেন। সে কারণেই শেষ অধ্যায়টি বাতিল হতে পারে।
এই বিষয়ে নির্গুণানন্দ বলেন, ‘‘আমরা পুরনো কর্মসূচির জন্য প্রস্তুতি রাখছি। সেই মতো বাংলার সর্বত্র অনুশীলন চলছে। তবে এত বড় কর্মসূচিতে প্রয়োজন মতো কিছু এ দিক, ও দিক তো হতেই পারে।’’
সর্বশেষ যা অনুষ্ঠানসূচি তৈরি হয়েছে তাতে, সকাল ১০টার সময়ে শুরু হবে একটি শোভাযাত্রা। রথে চেপে ‘গীতানাথ’ এবং দ্বারকামঠের বর্তমান শঙ্করাচার্য স্বামী সদানন্দ সরস্বতীকে ‘পার্থসারথি মঞ্চ’-এ নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই পরে এসে বসবেন মোদি। শুরুতে হবে আরতি। এর পরে সন্ন্যাসীদের মঙ্গলাচারণ এবং নজরুল গীতি পরিবেশন। এর পরে শঙ্করাচার্যের বক্তৃতা। শেষে গীতাপাঠ।মোদি এলে পঞ্চদশ অধ্যায় পাঠ এবং প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা। এর পরে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি।


 
 
 
 

































































































































