বাংলার গরিব মানুষকে বঞ্চনা কেন্দ্রের, ব্রিগেডে মোদির গীতাপাঠের খরচ ৫কোটি!

0
1

বাংলার ন্যায্য বকেয়া দিচ্ছে না কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। বঙ্গ বিজেপিই রাজ্যের গরিব মানুষের টাকা আটকানোর জন্য দিল্লিতে দরবার করছে। আর ব্রিগেডে নরেন্দ্র মোদির গীতাপাঠ করতে পাঁচ কোটি টাকা খরচ করছে গেরুয়া শিবির। প্রধানমন্ত্রীর জন্য তৈরি হচ্ছে ১৪৮ ফুটের মঞ্চ! অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদ, সংস্কৃতি সংসদ ও মতিলাল ভারত তীর্থ সেবা মিশন আশ্রমের মতো একাধিক সংগঠন। প্রশ্ন উঠছে এত টাকা তারা পাচ্ছে কোথা থেকে। তাহলে কি এর পিছনে স্পনসর আছে? তারাই বা কোন স্বার্থে এই টাকা ঢালছে গীতাপাঠের কর্মসূচিতে। এই নিয়েই এখন জল্পনা তুঙ্গে।

আগামী ২৪ ডিসেম্বরের মূল মঞ্চ হবে ৯৬ ফুট চওড়া এবং ৪০ ফুট লম্বা। সব মিলিয়ে পুরো মঞ্চ হবে ১৪৮ ফুটের।মঞ্চের বাঁ দিকে আরেকটি মঞ্চ থাকবে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উপস্থিত সাধুদের সঙ্গে বসে খাবেন। সেই মঞ্চ হবে ৮২ ফুট লম্বা, ১০০ ফুট চওড়া।মূল মঞ্চের ডান দিকে থাকবে আরও একটি ছোট মঞ্চ। সেখানে গান হবে।সব মিলিয়ে মোট তিনটি মঞ্চ হচ্ছে। পুরো ব্রিগেড চারদিক দিয়ে ঘিরে দেওয়া হচ্ছে। ব্রিগেড মাঠে প্রধানমন্ত্রী যে রাস্তা দিয়ে মঞ্চে প্রবেশ করবেন, তা হবে ৩৫ ফুট দীর্ঘ।

এদিকে, মূল মঞ্চের কাছে থাকবে চারটি সংরক্ষিত এলাকা। সেখানে বসবেন সাধু-সন্ত, বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা, থাকবে স্পনসর ও ভিআইপিদের জন্য আলাদা জায়গা। এছাড়া হবে সাধারণ মানুষের জমায়েত। আগের দিন যাঁরা পৌঁছবেন তাঁদের বিভিন্ন মঠ, মন্দির ও ব্রিগেডে থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।সবাইকে নিয়ে যাওয়ার জন্য থাকবে ২৫০টি বাস ও লরি। ১৩টি বিশেষ ট্রেন চালানোর জন্যও রেল দফতরের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।

প্রথমে ঠিক হয়েছিল, ব্রিগেড ময়দানে গীতার প্রথম, দ্বিতীয়, দ্বাদশ, পঞ্চদশ এবং অষ্টাদশ অধ্যায় সমবেত কণ্ঠে পাঠ করা হবে। ১৮ অধ্যায়ের মধ্যে পাঁচটি বেছে নেওয়ার কারণও জানিয়েছিলেন আয়োজকরা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে মোদির সফরের যে সূচি পাওয়া গিয়েছে তাতেই কর্মসূচিতে বদল আনতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। ঠিক ছিল গীতার মোট ২৩৭টি শ্লোক সমবেত কণ্ঠে পাঠ করা হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৭৮টি শ্লোক পাঠ না-ও করা হতে পারে।আসলে ফ্লপ শোয়ের আশঙ্কাতে আগেভাগেই কর্মসূচিতে কাটছাঁট করা হচ্ছে।