পার্লামেন্টে সোমবার সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে কলঙ্কময় অধ্যায়ের সাক্ষী ছিল গোটা দেশ। একসঙ্গে বিরোধী দলের ৯২ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়, যা ভারতের ইতিহাসে ‘নজিরবিহীন’ ঘটনা। শীতকালীন অধিবেশনে সংসদে নিরাপত্তা ইস্যুতে হট্টোগোলের জেরে লোকসভা এবং রাজ্যসভা মিলিয়ে মোট ৯২ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

তারই প্রতিবাদে আজ, মঙ্গলবার সকালে সংসদে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিরোধীরা একজোট হয়ে বিক্ষোভে দেখাল। বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের তরফে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মালা রায়, অপরূপা পোদ্দার, দোলা সেন, শান্তনু সেন সহ লোকসভা ও রাজ্যসভার একাধিক সাংসদ। ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেও। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, দোলা সেনারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহদের বিরুদ্ধে মুর্দাবাদ স্লোগান দিতে থাকেন। সংসদ কাণ্ডের দায় নিয়ে অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করেন তাঁরা। একই সঙ্গে এই প্রতিবাদ থেকে ফের একবার বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহাকে বহিষ্কারের দাবি তোলা হয়।

উল্লেখ্য, সোমবার সংসদে বিরোধীদের সাসপেনশনের বেনজির নিদর্শন । লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে একদিনে ৭৮ বিরোধী সাংসদ সাসপেন্ড । লোকসভায় একদিনে সাসপেন্ড ৩৩ সাংসদ, রাজ্যসভায় ৪৫ সাংসদ সাসপেন্ড । লোকসভায় অধীর-সহ কংগ্রেসের ১১ জন সাংসদ সাসপেন্ড। সৌগত রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার সহ সাসপেন্ড তৃণমূলের ৯ সাংসদ । সাসপেন্ড করা হয়েছে ডিএমকে-র ৯, আরএসপি-র ১, জেডিইউয়ের ১ ও আইইউএমএলের ১ সাংসদকে । রাজ্যসভায় সাসপেন্ড কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ, কে সি বেণুগোপাল, রণদীপ সুরজেওয়ালা। সাসপেন্ড করা হয়েছে তৃণমূলের সুখেন্দুশেখর রায়, শান্তনু সেন, নাদিমুল হক-সহ ৭ সাংসদকে । স্মোককাণ্ডে অমিত শাহর বিবৃতি দাবি করে এখনও পর্যন্ত সাসপেন্ড মোট ৯২ জন বিরোধী সাংসদ।
আরও পড়ুন:বর্ধমান বি.পর্যয় থেকে শিক্ষা! চাপে পড়ে একাধিক স্টেশনের বি.পজ্জনক ট্যাঙ্ক ভা.ঙার সিদ্ধান্ত রেলের










































































































































