জোটের ফর্মুলা তৈরি শুরু, দিল্লির বৈঠকে একাধিক সিদ্ধান্ত ‘ইন্ডিয়া’র

0
1

২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে গদিচ্যুত করতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে ইন্ডিয়া জোট। মঙ্গলবার রাজধানীর অশোকা হোটেলে ছিল জোটের চতুর্থ বৈঠক। সেই বৈঠকেই নেওয়া হল একাধিক সিদ্ধান্ত। দ্বন্দ্ব ভুলে একজোট হয়ে লড়াইয়ে নামার পাশাপাশি আসন ভাগাভাগি ও সারা দেশজুড়ে বিরোধী জোটের প্রচারের রণকৌশলও ঠিক হল এদিন। এছাড়াও বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী মুখ কে হবে তা নিয়ে এখনই কোনও পরিকল্পনা না করে লড়াইয়ে মনোনিবেশ করার বার্তা দেওয়া হয়েছে বৈঠকে।

মঙ্গলবার ২৮ টি রাজনৈতিক দলের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয় জোটের বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেসের সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরীবাল, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, , এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার, আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে প্রধান এমকে স্টালিন, সিপিআইএম-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, শিবসেনা (উদ্ধব) প্রধান উদ্ধব ঠাকরে প্রমুখ। দীর্ঘ আলোচনার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মল্লিকার্জুন খাড়গে জানান, গোটা দেশজুড়ে ৮ থেকে ১০টি যৌথ সভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৈঠকে। আগামী বছরের ৩০ জানুয়ারি থেকে যৌথ কর্মসূচি শুরু করবে জোট। পাশাপাশি তিনি বলেন, “গণতন্ত্র বাঁচাতে চাইলে, আমাদের সবাইকে একসঙ্গে লড়াই করতে হবে। এই বিষয়ে আমরা একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছি।” তিনি আরও জানিয়েছেন এই জোট কীভাবে এগোবে, সেই বিষয়ে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এদিনের বৈঠকে।

এছাড়া আসন ভাগাভাগি প্রসঙ্গে খাড়গে বলেন, রাজ্য স্তরে আসন ভাগাভাগি করা হবে। যদি কোনও সমস্যা থাকে তবেই তা কেন্দ্রীয় স্তরে আলোচনা করা হবে। তিনি বলেন, “তামিলনাড়ু, কেরল, তেলঙ্গানা, বিহার, উত্তর প্রদেশ, দিল্লি বা পঞ্জাব যেখানেই হোক না কেন, আসন ভাগাভাগি নিয়ে সমস্যাগুলির সমাধান করা হবে।” এদিনের বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেস এবং জোটের আরও বেশ কয়েকটি দল চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরকেই আসন ভাগাভাগির ডেডলাইন হিসেবে ঠিক করেছে। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মুখ নিয়ে জোট যে এখনই কিছু ভাবতে রাজি নয় তা স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিয়ে খাড়গে বলেন, “আগে তো জিততে হবে। সবার আগে আমাদের জেতার দিকে নজর দেওয়া উচিত। জেতার আগে, প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে আলোচনা করে লাভ কী? তাই আগে আমাদের জিততে হবে। তারপর দেখা যাবে।” এছাড়া নির্বাচনী কারচুপি রুখতে জোটের বৈঠকে ১০০ শতাংশ ভি ভি প্যাড এর দাবি করা হয়েছে।