সাসপেন্ডেড দলীয় সাংসদদের নিয়েই বুধে প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি মুখ্যমন্ত্রী, সঙ্গে অভিষেকও

0
2

গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করে সংসদ থেকে সাসপেন্ড বিরোধীদলের অধিকাংশ সাংসদ। নিজের দলের সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের নিয়েই বুধবার প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে দেখা করে যাচ্ছেন তৃণমূল সভানেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সঙ্গে থাকা সাংসদদের মধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ছাড়া সকলকেই শীতকালীন অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করেছে মোদি সরকার। বাংলার বকেয়ার দাবিতে এঁদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে কেন্দ্রের উপর আরও চাপ বাড়াবেন মমতা- মত রাজনৈতিক মহলের।

১০০দিনের কাজ থেকে আবাস যোজনা, গ্রামীণ রাস্তা এমনকী রঙের অজুহাতে বাংলার স্বাস্থ্য প্রকল্পে টাকাও আটকে রেখে কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) সরকার। একমাত্র রাজ্য বাংলা যাকে কোনও টাকা দেয়নি। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। রবিবার, দিল্লি যাওয়ার আগে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে তীব্র আক্রমণ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করব। ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে। কেন্দ্রের স্কিমের কাজ হয়। তবে সব টাকা ওদের নয়। আমাদের শেয়ার আছে। জিএসটি বাবদ আমাদের থেকে ট্যাক্স তুলে নিয়ে যায়। স্বাস্থ্য দফতরের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে।’’ মমতা (Mamata Banerjee) জানান, ’’৩ বার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। বাংলার দাবি আদায়ে অভিষেকরা অনেক আন্দোলন করেছে। আন্দোলনটা দীর্ঘদিন ধরে চলছে। আমি নিজেও ৪৮ ঘণ্টা ধর্না দিয়েছি।’’ এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন বুধবার সকাল ১১টায় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। সঙ্গে থাকবেন কয়েকজন দলীয় সাংসদ। তাঁদের তালিকা পাঠিয়ে দেবেন বলেও জানিয়েছিলেন মমতা। সেই মতো মঙ্গলবার জানা গিয়েছে তালিকায় রয়েছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন, কাকলি ঘোষদস্তিদার, প্রকাশ চিক বরাইক, শতাব্দী রায়, প্রতিমা মণ্ডল, সাজদা আহমেদ, নাদিমুল হক অর্থাৎ অভিষেক ছাড়া সাসপেন্ডেড সাংসদদের নিয়েই প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বৈঠকের আগেই কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াতে এই কৌশল বলে মত রাজনৈতিক মহলের। যদিও এদিন দলীয় সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে মোদি বলেন, যাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁরা বাইরেই থাকবেন। সেই আসন পূর্ণ করবে বিজেপি। অর্থাৎ বিরোধী শূন্য একনায়কতন্ত্রের পথে হাঁটতে চাইছে মোদি সরকার। এই পরিস্থিতিতে সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের মুখোমুখি হয়ে প্রধানমন্ত্রী কী বলেন, সেটাই দেখার।