
১৯৩১
ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাদিবস। কলকাতায় এই সংস্থার প্রতিষ্ঠা করেন প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ। আজকের অতিমারি-বিধ্বস্ত দুনিয়ায় রাশিবিজ্ঞানের সুষ্ঠু ব্যবহারিক প্রয়োগের প্রয়োজন অনেক বেশি। প্রচুর মডেল বানিয়েছেন ডেটা সায়েন্টিস্টরা, রাশিবিজ্ঞানীরা, কম্পিউটার-বিশেষজ্ঞরা, মহামারী-বিশেষজ্ঞরা। অতিমারির দাপটে জিডিপি নেমেছে তলানিতে। কাজ হারিয়েছেন অগণিত মানুষ। রোজগার প্রতিনিয়ত কমে চলেছে বহু মানুষের। উপযুক্ত সমীক্ষার মধ্য দিয়ে ক্ষয়ক্ষতির একটা উপযুক্ত অনুমান এই মুহূর্তে বিশেষ প্রয়োজন— আগামী দিনের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সুরক্ষার পরিকল্পনার পথনির্দেশের জন্যে। কোভিড-বিধ্বস্ত দেশের দরকার বাংলার দুর্ভিক্ষের প্রেক্ষিতে করা মহলানবিশের সার্ভের মতোই নিখুঁত যুক্তিনিষ্ঠ পরিমাপ, যাতে রাশিবিজ্ঞানের তত্ত্বের সঙ্গে থাকবে বুদ্ধি, প্রজ্ঞা এবং বাস্তবের মিশেল। দেশ ও সমাজের এই ক্রান্তিকালে প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ ও তাঁর প্রতিষ্ঠিত আইএসআই আজও প্রবলভাবেই প্রাসঙ্গিক।

১৯২৭
রাজেন্দ্রনাথ লাহিড়ী
(১৯০১-১৯২৭) এদিন উত্তরপ্রদেশের গোণ্ডা জেলে ফাঁসির মঞ্চে জীবনের জয়গান গেয়েছিলেন। বাবা ক্ষিতীশমোহনের কাছে স্বদেশপ্রেমের দীক্ষা। বঙ্গভঙ্গের সময় থেকেই পুলিশের নজরে ছিলেন। উচ্চশিক্ষার জন্য বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এ সময় বিপ্লবী দলের সংস্পর্শে আসেন। কাকোরি ষড়যন্ত্র মামলা ও দক্ষিণেশ্বর বোমা মামলায় প্রথমে দ্বীপান্তর, পরে ফাঁসি হয়। যেদিন মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার কথা ছিল, ফাঁসির তারিখ তার চেয়ে দু’দিন এগিয়ে এনেছিল ব্রিটিশ সরকার।

১৯৩৬
দেবেশ রায়
(১৯৩৬-২০২০) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলা কথাসাহিত্যের সেই বিস্ময় যিনি নিজস্ব ঘরানা-বাহিরানায় সমাজবিশ্ব আর ব্যক্তিমানুষকে আশ্চর্য নৈপুণ্যে গভীর সংবেদনে তরঙ্গায়িত করেন। তাঁর সমগ্র কথাসাহিত্য সেই দূরপাল্লার নৌবহর। দূরবিনের দুই দিক দিয়ে তিনি ক্রমান্বয়ে দেখে গিয়েছেন দেশকাল, প্রান্ত প্রান্তিক, ভণ্ড ধ্বস্ত অথচ প্রতিরোধী বাস্তবতা। বিকল্পসন্ধানী লেখকসত্তার জোরেই তাঁর গদ্যরীতিও সচেতনভাবে পল্লবিত হয়েছে। ‘তিস্তা পারের বৃত্তান্ত’ উপন্যাসের জন্য সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন।

১৯৪২ তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের প্রতিষ্ঠাদিবস
ব্রিটিশ শাসনকালে এটি ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সমান্তরাল জাতীয় সরকার। সর্বাধিনায়ক হন বিপ্লবী সতীশচন্দ্র সামন্ত। এই জাতীয় সরকার সে-সময় পৃথক শাসনব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল। আইন-শৃঙ্খলা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিচার, কৃষি, প্রচার, সমর ইত্যাদি বিভাগে পৃথক পৃথক সচিব নিয়োগ করা হয়েছিল। সবার উপরে ছিলেন সর্বাধিনায়ক বিপ্লবী সতীশচন্দ্র সামন্ত। অর্থসচিব ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অজয়কুমার মুখোপাধ্যায় এবং সমর ও স্বরাষ্ট্রসচিব ছিলেন সুশীলকুমার ধাড়া। ১৯৪৪ সালে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী ছিল তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের অস্তিত্ব।

১৯০৩
রাইট ভ্রাতৃদ্বয়ের আবিষ্কৃত বিমান উড়ল আকাশে। একবার নয়, চার-চারবার। ফাঁকা নয়, বৈমানিক সমেত। উত্তর ক্যারোলিনার কিটি হক থেকে দক্ষিণ দিকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কিল ডেভিল হিলসের কাছে একটি জায়গা বেছে নেওয়া হয় এদিনের উড়ান পরীক্ষার জন্য। সেদিনের সেই বিমানটি দেখতে গেলে এখন যেতে হবে ওয়াশিংটনের ন্যাশনাল এয়ার অ্যান্ড স্পেস মিউজিয়ামে।

১৯২৮
ব্রিটিশ পুলিশ অফিসার সন্ডার্সকে হত্যা করেন ভগৎ সিং, চন্দ্রশেখর আজাদ, রাজগুরু ও শুকদেব। লালা লাজপত রায়ের মৃত্যুর প্রতিশোধস্বরূপ এই হত্যাকাণ্ড। এই ঘটনার পরেই কলকাতায় পালিয়ে এসেছিলেন ভগৎ সিং। আশ্রয় নিয়েছিলেন ১৯ নম্বর বিধান সরণির বাড়িটিতে। এটি আর্য সমাজ মন্দিরের বাড়ি হিসাবে উত্তর কলকাতার মানুষের কাছে অতি-পরিচিত।

১৩৯৮
তৈমুরলঙ্গের ভারত আক্রমণ
তৈমুরলঙ্গের ভয়ে সুলতান নাসিরুদ্দিন মামুদ দিল্লি ছেড়ে পালিয়ে যান। তৈমুরের আক্রমণ দিল্লি সুলতানি শাসনের অন্তঃসারশূন্যতাকেই প্রকট করে । ফলে দিল্লির সুলতানের মর্যাদা ও প্রতিপত্তি ভূলুণ্ঠিত হল। প্রচুর ধনসম্পদ লুঠ করে তৈমুর দিল্লির অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেন। কিন্তু তৈমুর ভারতে সাম্রাজ্য স্থাপনের কোনও চেষ্টা করেননি। সেজন্য ধ্বংস এবং বিশৃঙ্খলা ছাড়া তাঁর আক্রমণের কোনও গঠনমূলক ফল পরিলক্ষিত হয়নি।









































































































































