লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Election) যত এগিয়ে আসছে রাজ্যে একের পর এক তৃণমূল কর্মী (TMC Leader) খুনের ঘটনা সামনে আসছে। এবার বারুইপুরে (Baruipur) এক তৃণমূল কর্মীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে মারার অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভা এলাকার ঘটনা। মৃতের নাম সইদুল আলি শেখ। পরিবার সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধেয় সইদুলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় কয়েকজন। কিন্তু রাত বাড়লেও ছেলে বাড়ি না ফেরায় চিন্তায় পড়ে পরিবার। মোবাইল ফোনেও সইদুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। পরে বাড়ির কাছের এক মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় সইদুলের দেহ।
এদিকে সইদুলকে ওই অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসকরা তৃণমূল কর্মীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃতের গায়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পাশাপাশি ভারী কিছু দিয়ে মারা হয়েছে তাঁকে। মাথাতেও আঘাতের চিহ্ন আছে। তবে ঠিক কীভাবে মৃত্যু হল ওই তৃণমূল কর্মীর তা জানতে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বারুইপুর থানার পুলিশ। শনিবার রাত থেকেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১২ জনকে প্রথমে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই ঘটনায় আর কারা জড়িত, কেন এভাবে সইদুলকে মারা হল, তা জানতে ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, এলাকায় অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করত সইদুল। তার জন্য আগেও তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দমে যায়নি সইদুল। এলাকায় বিভিন্ন সমাজবিরোধী কাজের ঘটনা ঘটলেই ছুটে যেতেন তিনি। রুখে দাঁড়াতেন সইদুল। সেই কারণেই খুন হতে হল তাঁকে। সিপিএম ও বিজেপির দিকেই অভিযোগ করছে সইদুলের পরিবারের লোকেরা। পাশাপাশি স্থানীয় তৃণমূল নেতার অভিযোগ, এলাকায় সিপিএম ও বিজেপি বিভিন্ন অপকর্ম করত। সইদুল প্রতিবাদ করায় তাঁর সঙ্গে ঝামেলা বাঁধত। ওরাই সরিয়ে দিল সইদুলকে।