ধীরে ধীরে তাঁর উপর আস্থা হারিয়েছে দল। বঙ্গ রাজনীতিতে তাঁকে নিয়ে কমেছে চর্চা। শুধু তাই নয় রাজ্য সভাপতির পদ ছেঁটে দেওয়ার পর কলকাতার সদর দফতর থেকে তাঁর অফিসও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিনই খবরে আসতে বহু চেষ্টা করেন তিনি। তার জন্য কোনওরকম কসরত করতে পিছপা হচ্ছেন না তিনি। না তবে এই প্রথম নয়, প্রথম থেকেই একাধিক ‘আজব’ মন্তব্য করে এমনিতেই বেশ জনপ্রিয় তিনি। তবে এবার সবকিছুর মাত্রা ছাড়ালেন। পুলিশকেই (Police) ‘হিজড়া’ বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপির (BJP) প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। শনিবার এক জনসভায় পুলিশকে এই ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। সঙ্গে হুঁশিয়ারি দেন, এই চোরেরা জেলে যাবে। তোমাদের অবস্থা তার থেকেও খারাপ হবে।
দিলীপ এদিন মনে করিয়ে দেন, পুলিশের কাজ কী? আমাদের মিটিং আটকানো। পারমিশন দেবে না। আমরা বললে আমাদের নামে কেস দেবে। এত লোক এসেছে খড়গপুরে। কোনও অনুমতি নিয়েছে তৃণমূল? আমরা মেদিনীপুরে অনুমতি নিয়ে মিছিল করেছিলাম। সেখানে কয়েকজনকে নেতা সাজানো হয়েছিল। কেউ পার্থ সেজেছিল, কেউ কেষ্ট সেজেছিল। মুখোশ বানানো হয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও মুখোশ ছিল। তবে মিটিং শেষের পর আমি বেরিয়ে গেছি। যিনি মমতা সেজেছিলেন আর যিনি জ্যোতিপ্রিয় সেজেছিলেন তাদের পুলিশ থানায় তুলে নিয়ে গেছে। আর পরশুদিন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ সাজিয়ে কোমরে দড়ি বেঁধে নিয়ে গেছে। যাদের বিরুদ্ধে একটা কাগজ দেখাতে পারবে না কোনও লোক।
এখানেই থামেননি দিলীপ। এরপরই নিজের ভাষাজ্ঞান হারিয়ে দিলীপ বলেন, “আমি এই হিজড়া পুলিশকে বলতে চাই। নপুংশক! দম আছে? কেস দেও তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। পারবে না”। পাশাপাশি পুলিশকে আক্রমণ করে দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, পুলিশ চামচাগিরি করবে। গরু, কয়লা, বালি পাচারের টাকা তুলবে। ভাগ নেবে। তোমাদের মেরুদণ্ড নেই। তোমাদের দম নেই চোরেদের গায়ে হাত দেওয়ার। বিজেপিকে চমকে লাভ নেই। এই পুলিশদেরকেও বলছি, চাকরি তোমাকেও করতে হবে। কালকে চাকরি ছেড়ে দিলে খেতে পাবে না। এই চোরেরাও জেলে যাবে। তোমাদের কপালে তার থেকে বেশি কষ্ট।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার পুলিশকে বেলাগাম ভাষায় আক্রমণ করতে শোনা গিয়েছে দিলীপ ঘোষকে। এই নিয়ে কখনও আক্ষেপ করেননি তিনি। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের আগে এবার এই জল কোন পর্যায়ে পৌঁছয় তা জানতে আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতেই হবে।