ভরা পর্যটক মরশুমে এবছর জমজমাট কার্শিয়ংয়ের ডাউহিল (Dowhill)। সম্প্রতি স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তায় কালো চিতা (black cheetah) দেখার পর থেকে আরও জমে উঠেছে পরিবেশ। পাশাপাশি নজরদারি শুরু করেছে বন দফতর। তবে বন দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে কালো চিতা নিয়ে আতঙ্কের কোনও কারণ নেই।
ডাউহিল এলাকার বাসিন্দাদের দাবি রাতের অন্ধকারে রাস্তা পারাপার করতে দেখা যাচ্ছে কালো চিতাকে। স্থানীয় বাসিন্দা বা কোন পথচারী তাকে ক্যামেরাবন্দি করতে না পারলেও বন দফতর কালো চিতার অস্তিত্বকে উড়িয়ে দিচ্ছে না। হিমালয় তরাই এলাকায় কালো চিতা একটি পরিচিত প্রজাতি। কালো চিতা দেখতে পাওয়ার কথা প্রচার হওয়ায় সন্ধ্যার পর এলাকায় সাধারণ মানুষের যাতায়াত কমেছে। পর্যটকদের ওপর সন্ধ্যার পর বাইরে বেরোতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বন দফতরের নজরে এখনও চিতা না এলেও কিছুটা আতঙ্ক ছড়িয়েছে পর্যটকদের মধ্যে।
এর আগে এপ্রিল মাসে দার্জিলিংয়ের রাস্তা দেখা গিয়েছিল কালো চিতা। সেই ছবি ভাইরালও হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। আবার সম্প্রতি কালিম্পংয়ের বাগোরা ও দিলারাম এলাকাতেও একটি কালো চিতাকে রাস্তা পারাপার করতে দেখা গিয়েছে কয়েক সেকেন্ডের জন্য। অন্যদিকে গত এক সপ্তাহ ধরে কার্শিয়ং এলাকায় বাসিন্দাদের ছাগল মুরগি উধাও হয়ে যাচ্ছে। বন দফতরের আধিকারিকদের অনুমান চিতাটি পূর্ণবয়স্ক। খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে আসে। শিকার পেয়ে গেলে হামলা চালায় না এই অত্যন্ত দ্রুতগামী পশুটি।
আরও পড়ুন:কিশোর সোধার ট্রাম্পেটের জাদু আর ডি ফর এভারে