বর্ধমান স্টেশনের দু.র্ঘটনায় বাড়ল মৃ.তের সংখ্যা! রেলের নজরে আরও এক ট্যাঙ্ক

0
2

কয়েকদিন আগেই বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল বর্ধমান স্টেশন (Bardhaman Station)। আচমকা ভেঙে পড়েছিল ব্রিটিশ আমলে তৈরি বিশালাকাল জলের ট্যাঙ্ক (Water Tank)। ব্যস্ত সময় মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছিল ৩ জনের। আহত হয়েছিলেন বহু মানুষ। প্রশ্ন উঠেছিল ট্যাঙ্কটির রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে। পাশাপাশি গাফিলতির দায় একেবারেই নিজেদের ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারেনি রেল (Indian Rail)। তবে শনিবার রাতে ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ার ঘটনায় মৃত্যু হল আরও এক গুরুতর আহত প্রৌঢ়ের। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Burdwan Medical College and Hospital) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সুধীর সূত্রধর নামে এক মেমারির বাসিন্দা। এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪।

উল্লেখ্য, গত ১৩ তারিখ আচমকা বর্ধমান স্টেশনে বড় দুর্ঘটনা ঘটে। জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে তিনজনের মৃত্যু হয়। বেশ কয়েকজন আহত হয়ে ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। দুর্ঘটনার তিনদিন পর সেখানেই মৃত্যু হল বছর সত্তরের সুধীরবাবুর। বর্ধমান স্টেশনের ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে ৫৩ হাজার গ্যালনের জলের ট্যাঙ্কটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান এক কিশোর-সহ তিনজন। মৃতদের নাম মফিজা খাতুন (৩৫), কান্তিকুমার বাহাদুর (১৭) এবং সোনারাম টুডু (২৭)। জখম হন অনেকেই। এই দুর্ঘটনার পর ওই ১, ২ এবং ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এই ঘটনায় রেলের গাফিলতির অভিযোগ সরগরম হয়ে ওঠে বিভিন্ন মহল। যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে ওঠে বিস্তর প্রশ্ন। পরে তড়িঘড়ি পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ড্যামেজ কন্ট্রোলে রেলের তরফে দ্রুত আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করে তা তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে।  আহতদের বেশিরভাগই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন। সেখানেই শনিবার মৃত্যু হল ৬৯ বছরের সুধীর রবিবার  সকালে তাঁর মৃত্যুর খবরে স্বভাবতই শোকে ভেঙে পড়েছে পরিবার।

এদিকে গত বুধবাররর ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে অবশেষে টনক নড়ল রেল কর্তৃপক্ষের। স্টেশনের ৮ নম্বর প্লাটফর্মে ১৯৩৫ সালে তৈরি একটি জলের ট্যাঙ্ক রয়েছে। সেটির রক্ষণাবেক্ষণ নিয়েও শুরু হয়েছে তৎপরতা। ওই ট্যাঙ্ক লাগোয়া এলাকায় যে বস্তি রয়েছে, দোকানদারেরা রয়েছেন তাঁদের অন্যত্র চলে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে রেলের তরফে। এদিকে আচমকা রেলের এমন সিদ্ধান্তে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে। আচমকা এই নির্দেশের পর বস্তির লোকজন কোথায় যাবেন তা ভেবে কূলকিনারা পাচ্ছেন না। চাপে পড়েছেন দোকানদারেরাও।