কারো বয়স ২২, কারো ২৮। বন্দিদশা থেকে মুক্তি চেয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাওয়াই শেষ পর্যন্ত কাল হল ৩ পণবন্দির (hostage)। ইজরায়েলি সেনা দেখে সাদা পতাকা উড়িয়ে এগিয়ে আসতেই উদ্ধারের বদলে মিলল সেনার গুলি। নির্মম মৃত্যুর নিন্দা গোটা বিশ্বে। এমনকি ইজরায়েল সেনার পক্ষ থেকেও দাবি করা হয়েছে এভাবে সংঘর্ষ তাদের নিয়ম বিরুদ্ধ।
শুক্রবার উত্তর গাজার (Gaza) সেজাইয়া এলাকায় হামাস জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের সেনা (EDF)। হঠাৎই খালি গায়ে হাতে লাঠির সঙ্গে সাদা পোশাক বেঁধে বেরিয়ে আসে। ইজরায়েলি সেনাকর্তার দাবি, আচমকা বাইরে বেরিয়ে আসায় ভয় পেয়ে গুলি চালায় ইজরায়েলি সেনা।
গুলিতে সেখানেই মৃত্যু হয় দুজনের। অন্যজন কোনওমতে ভিতরে ঢুকে সাহায্যের জন্য চিৎকার করে। তখনই সেনাকে সিজ ফায়ারের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে অন্য দিক থেকে আসা গুলিতে তাঁরও মৃত্যু হয়। পরে তিনজনের পরিচয় জানা যায় – ইওতাম হাইম (২৮), সামের তালালকা (২২) এবং আলোন সামরিজ (২৬)।
গোটা ঘটনাকে অপরিসীম দুঃখজনক বলে দুঃখ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। কিন্তু তার দুঃখ প্রকাশের পরেও ক্ষোভে ফুঁসছে ইজরায়েলের মানুষ। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই গাজায় প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দেন পণবন্দিদের পরিবার। পাশাপাশি গোটা বিশ্ব থেকে নিন্দা করা হয়েছে এই মৃত্যুর ঘটনার।
আরও পড়ুন- বিপাসনা ধ্যানে মন, জোট বৈঠক ছেড়ে কেজরি চললেন আধ্যাত্মিকতার খোঁজে!