প্রশ্নের মুখে রেলের র.ক্ষণাবেক্ষণ, হাওড়া – মুম্বই মেলের আত.ঙ্ক কাটলো না সকালেও

0
3

কেউ নিজের বাড়ি ফিরছিলেন, কেউ আবার চিকিৎসা করাতে পাড়ি দিচ্ছিলেন। কেউ কর্মস্থলে, কেউবা ছুটি কাটাতে চড়ে বসেছিলেন হাওড়া মুম্বই মেলে (Howrah Mumbai Mail)। শীতের রাতে সবে মাত্র ধাতস্থ হয়ে রাতের খাবার খাওয়া শুরু করেছেন, এমন সময় হঠাৎ বিপত্তি। উলুবেড়িয়া স্টেশন ছেড়ে বীরশিবপুর স্টেশনে (Birshibpur station) ঢোকার মুখে ট্রেনের কাপলিং খুলে যায়। অথচ ট্রেনের ইঞ্জিন নিজের মতো এগিয়ে গেল, চালক টেরও পেলেন না। হুঁশ ফিরল বেশ কিছুক্ষণ পর। ফের ট্রেনটিকে উলুবেড়িয়া স্টেশনে (Uluberia Station) এনে কাপলিং মেরামতির কাজ শুরু হয়। ঘটনা জেরে হাওড়া -খড়গপুর (Howrah – Kharagpur route) আপ লাইনে গাড়ি চলাচল ব্যাহত হয়, সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। রাতের সেই বিভ্রাটের জের সকালেও কাটেনি। হাওড়া পুরী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস (Howrah Puri SF Express) নির্ধারিত সময় থেকে প্রায় এক ঘন্টা দশ মিনিট দেরিতে গন্তব্যে পৌঁছেছে। খড়গপুর শাখায় ট্রেন চলাচলেও এর প্রভাব পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে হাওড়া ছেড়ে বেরিয়ে মুম্বই অভিমুখে রওনা দেওয়া মেল। কিছুটা যেতেই ট্রেনের কাপলিং খুলে যায়। যদিও ইঞ্জিন না থেমেই এগিয়ে যায় সামনের দিকে। খোলা আকাশের নিচে রেল ট্র্যাকে লাগেজ সমেত নেমে পড়েন যাত্রীরা। হাওড়া স্টেশনে খবর পৌঁছানোর পর ট্রেনটিকে উলুবেড়িয়া স্টেশনে ফেরত এনে খুলে যাওয়া কাপলিং মেরামত করা হয়। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্যকুমার চৌধুরী (Aditya Kumar Chaudhary) এই ঘটনার কথা স্বীকার করে জানান, কারশেড থেকে হাওড়া স্টেশনে আনার সময়ে ট্রেনের সব ক’টি কাপলিং ও অন্য যন্ত্রাংশ পরীক্ষা করে দেখাই রেলের নিয়ম। কিন্তু তারপরেও এত বড় কাণ্ড রেলের উদাসীনতার পরিচয় দিল। ট্রেনের গতি কম থাকায় মারাত্মক বিপদ ঘটেনি। কিন্তু বারবার কেন রেলের রক্ষণাবেক্ষণ প্রশ্নের মুখে পড়ছে তা নিয়ে সওয়াল করছেন যাত্রীরা।