ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস সাংসদ ধীরজ সাহুর বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় শোরগোল শুরু হয়েছে গোটা দেশে। কোথা থেকে এসেছে এত টাকা? এই কুবেরের ধনের সঙ্গে কী রাজনীতির যোগ রয়েছে। এমনই সহস্র প্রশ্নের মাঝেই অবশেষে নিরবতা ভাঙলেন ধীরজ। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কংগ্রেস সাংসদ জানালেন, “এই টাকা আমার পারিবারিক ব্যবসার টাকা।” পাশাপাশি তাঁর আরও দাবি ের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।
গত ৬ ডিসেম্বর থেকে বউধ ডিস্টিলারি প্রাইভেট লিমিটেড এবং তার সহযোগী সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে অভিযানে নামে আয়কর দফতর৷ ওই সব সংস্থারই মালিকানা রয়েছে কংগ্রেস সাংসদ ধীরজ সাহু এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডে একযোগে তল্লাশিতে উদ্ধার হয় প্রায় ৩৫৪ কোটি টাকা। কংগ্রেস সাংসদের বাড়ি থেকে এই বিপুল অর্থ উদ্ধারের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই কংগ্রেসের দিকে দুর্নীতির অভিযোগ তোলে বিজেপি। তার উপর অভিযুক্ত সাংসদ ধীরজ সাহু মুখ না খোলায় কংগ্রেসের অস্বস্তি আরও বাড়ছিল। এই পরিস্থিতিতে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে সাহু বলেন, তিনি প্রায় ৩৫ বছর ধরে রাজনীতিতে রয়েছেন৷ কিন্তু এই প্রথমবার তাঁর বিরুদ্ধে এই ধরনের কোনও অভিযোগ উঠল। কংগ্রেস সাংসদের কথায়, ‘আমি খুবই ব্যথিত। আমি জোর দিয়ে বলতে পারি সব টাকাই আমার সংস্থা থেকে উদ্ধার হয়েছে। আমরা প্রায় ১০০ বছর ধরে মদ তৈরির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। আমি রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকি এবং ব্যবসায় সেভাবে নজর দিই না। আমার পরিবারের সদস্যরাই ব্যবসার দেখাশোনা করে। আমি শুধুমাত্র মাঝেমধ্যে সব ঠিকঠাক চলছে কি না খোঁজ নিয়ে নিতাম।’
কংগ্রেস সাংসদের আরও দাবি, তাঁরা ছয় ভাই। পরিবারও অনেক বড়। তাঁর বাকি পাঁচ ভাই এবং তাঁদের সন্তানরা মিলেই ব্যবসার বিভিন্ন দিক দেখাশোনা করেন। তবে তাঁদের ব্যবসা একেবারেই স্বচ্ছ বলে দাবি করেছেন সাহু। সাহুর দাবি, যে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়েছে তা আসলে মদ বিক্রি করে পাওয়া। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে নগদে মদ কেনাবেচা হয়। ফলে ওই টাকার সঙ্গে কংগ্রেস অথবা অন্য কোনও দলের যোগ নেই। কংগ্রেস সাংসদ জানিয়েছেন, তাঁর পরিবারের সদস্যরাও প্রয়োজনে আয়কর দফতরের প্রশ্নের উত্তর দেবেন। তাঁরা আয়কর দফতরকে সবরকম সহযোগিতা করতেও তৈরি বলে দাবি করেছেন সাহু।