১৯২৯ সালে এদিন কলকাতার অ্যালবার্ট হলে এদিন কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। উদ্যোক্তা ‘সওগাত’ পত্রিকার সম্পাদক-সহ বিশিষ্টজনেরা। এদিনের সভায় সভাপতিত্ব করেন আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, প্রধান অতিথি ছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু।
গৌরকিশোর ঘোষ(১৯২৩-২০০০) এদিন প্রয়াত হন। প্রথিতযশা বাঙালি সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। তিনি রূপদর্শী ছদ্মনামে গল্প ও উপন্যাসও রচনা করেছেন। স্বাধীনচেতা সাংবাদিক গৌরকিশোর ১৯৭৫ সালের ‘মিসা’ অর্থাৎ অভ্যন্তরীণ জন-নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হন। প্রেসিডেন্সি জেলে তাঁকে বন্দি রাখা হয়। সাংবাদিকদের অধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য বহু নির্যাতন সহ্য করেও নিরন্তর সংগ্রামে ব্রতী ছিলেন। তাঁর লেখা গ্রন্থগুলির মধ্যে আছে ‘প্রেম নেই’, ‘সাগিনা মাহাতো’, ‘জল পড়ে পাতা নড়ে’, ‘আমাকে বলতে দাও’ ইত্যাদি। তপন সিংহ তাঁর ‘সাগিনা মাহাতো’র চলচ্চিত্রায়ণ করেন।
১৯৬৬ সালে ওয়াল্টার ডিজনি (১৯০১-১৯৬৬) এদিন প্রয়াত হন। তাঁকে মানুষ চেনেন দুর্দান্ত একজন অ্যানিমেটর হিসেবে, মিকি মাউস-এর স্রষ্টা হিসেবে, প্রায় দু’ডজন অস্কার জিতে নেওয়া পরিচালক-প্রযোজক হিসেবে। আরও এক ধাপ এগোলে, ডিজনিল্যান্ড-এর মতো অসাধারণ ‘থিম পার্ক’-এর মাস্টারমাইন্ড হিসেবে, বা ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানির প্রাণপুরুষ হিসেবে। ডিজনির চলার পথে বাধাবিঘ্ন কম ছিল না। বাবা-মা’র উদ্বেগ, কাজ খোঁজার, রোজগারের চাপ মাথায়। এই খবরের কাগজে ক্যারিকেচার বা কমিক্স আঁকছেন, এই অমুক স্টুডিওয় অ্যাড ম্যান হিসেবে কাজ করছেন। কিন্তু ওই যে, স্বপ্ন আর দূরদৃষ্টিটা ছিল! আরও ছিল আনন্দ। আসলে জীবন খুঁড়ে খুঁজে নেওয়া এই আনন্দটাই ওঁকে পরে ওঁর লক্ষ্য গড়ে দিয়েছিল। অন্যকে আনন্দ দেওয়া, অন্যের জীবনে আনন্দের উৎস তৈরি করে দেওয়াও যে একটা ভরপুর কাজ হতে পারে, ডিজনিই তা দেখিয়েছিলেন।
১৯০০ সতীশচন্দ্র সামন্ত(১৯০০-১৯৮৩) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪২ সালের ১৭ ডিসেম্বর তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা হলে সরকারের প্রথম সর্বাধিনায়ক হন সতীশচন্দ্র সামন্ত। আন্দোলনকারীদের গোপন মুখপত্র ‘বিপ্লবী’তে এই জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করে জাতীয় সরকারের উদ্দেশ্য জানানো হয়। সতীশচন্দ্র সামন্ত গ্রেফতার হওয়ার পর জাতীয় সরকারের সর্বাধিনায়ক হন অজয়কুমার মুখোপাধ্যায়। স্বাধীনতার পর তমলুক কেন্দ্র থেকে ১৯৫২, ১৯৫৭, ১৯৬২, ১৯৬৭ ও ১৯৭১ সালে সাংসদ নির্বাচিত হন।
সুধীর চক্রবর্তী(১৯৩৪-২০২০) এদিন প্রয়াত হন। একদা নিজের পরিচয় দিতেন ‘কৃষ্ণকলি’ বলে। যাঁদের বাড়ি একই সঙ্গে কৃষ্ণনগর ও কলকাতা, তাঁরাই ‘কৃষ্ণকলি’। বলতে গেলে তিনি সারা জীবন কৃষ্ণনগরেই কাটিয়েছেন। লোকজীবন ও সংস্কৃতি সম্পর্কে আগ্রহ ছিল অনিঃশেষ। তাঁর মধ্যে গবেষকের রুক্ষতা কিংবা বিজ্ঞের শুষ্কতা ছিল না। ছিল সহজ সুস্মিত আলাপন, মধ্যে মধ্যে বৈদগ্ধ্যের হঠাৎ-আলোর ঝলকানি। আশ্রয় আর প্রশ্রয় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এক মহাবৃক্ষ ছিলেন সুধীর চক্রবর্তী। ‘বাউল ফকির কথা’র জন্য পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার ও সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার।
২০১১ সালে ইরাক যুদ্ধের অবসান হল এদিন।আমেরিকা ঘোষণা করল, তাদের ইরাক অভিযান সমাপ্ত হয়েছে। ২০০১-এর মার্চ এপ্রিল থেকে ব্রিটেন ও আমেরিকার যৌথ সামরিক অভিযানের মুখে পড়েছিল ইরাক। প্রেসিডেন্ট ওবামা এবছরের অক্টোবরে সেনা প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন। সেই মতো এদিন বাগদাদে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৩৯ হাজার মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা শুরু হয়।
১৯৫০ সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল(১৮৭৫-১৯৫০) এদিন প্রয়াত হন। ভারতের প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রী। দৃঢ়চেতা ব্যক্তিত্ব ও কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতার কারণে তাঁকে ‘লৌহমানব’ বলা হত।
৩৭ রোমের সম্রাট নিরো (৩৭-৬৮) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। পুরো নাম নিরো ক্লডিয়াস সিজার অগস্তাস জারমানিকাস। বেলেল্লাপনা ও অমিতাচারের জন্য কুখ্যাত। তবে এই কুখ্যাতির সমর্থনে ঐতিহাসিক নথি খুব একটা পাওয়া যায়নি। জনশ্রুতি, রোম যখন পুড়ছিল নিরো তখন সেসবের প্রতি উদাসীন হয়ে বেহালাবাদনে মগ্ন ছিলেন।