বিরোধী সাংসদদের বহি.ষ্কারের প্রতি.বাদে সংসদে গান্ধী মূর্তির সামনে বিক্ষো.ভ!

0
3

সংসদের নিরাপত্তা (Security of Parliament) নিয়ে প্রশ্ন তোলায় লোকসভা এবং রাজ্যসভা থেকে ১৫ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে আজ সংসদ ভবনের বাইরে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস (TMC), ডিএমকের সংসদরা বিক্ষোভ দেখান গান্ধী মূর্তির (Gandhi Statue) সামনে। এরপর সংসদ ভবনের প্রবেশ দ্বারের সামনেও প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদ জানান তাঁরা। ডেরেক ও ব্রায়েনের (Derek o Brayen) সঙ্গে এই বিক্ষোভে এক সারিতে কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীকেও (Adhir Ranjan Chowdhury) দেখা যায়।

বুধবার, সংসদের অধিবেশন চলাকালীন, লোকসভায় তুই আগন্তুকের কাণ্ডে প্রশ্ন উঠেছে নিরাপত্তা নিয়ে। নতুন ভবন তৈরির আট মাসের মধ্যেই বেআব্রু হয়েছে সংসদীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা। এর বিরুদ্ধে বিরোধীরা কথা বলতে গেলে দুই কক্ষেই তাদের কন্ঠরোধের চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার লোকসভা এবং রাজ্যসভা মিলিয়ে মোট ১৫ জন সাংসদকে শীতকালীন অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়। সাসপেন্ড করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনকেও। লোকসভার যে ১৪জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁরা হলেন – কংগ্রেসের টিএন প্রতাপন, হিবি ইডেন, এস জোথিমনি, রম্যা হরিদাস, ডিন কুরিয়াকোস, বেনি বেহানান, ভিকে শ্রীকান্দন, মহম্মদ জাভেদ এবং মানিকম ঠাকুর, সিপিআইএম-এর পিআর নটরাজন ও এস ভেঙ্কটেসন, ডিএমকে-র কানিমোঝি করুণানিধি ও এসআর পার্থিবন এবং সিপিআই-এর কে সুব্রহ্মণ্যম। এরই প্রতিবাদে আজ অধিবেশন শুরুর আগেই বিক্ষোভ দেখান বহিষ্কৃত সাংসদরা। পরে সংসদে হামলার জেরে দফায় দফায় উত্তাল হয় দুই কক্ষ। প্রথমে দুপুর দুটো পর্যন্ত তারপর সারাদিনের জন্য মুলতবি হয়ে যায় লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশন। ১১ টার সময় লোকসভা শুরু হতেই দাবি উঠলো, গোটা ঘটনার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে । তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার চিফ হুইপ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহের ইস্তফার দাবিতে এদিন সোচ্চার হন।