মামলায় নজরদারি করার নামে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে বিচারপতিরা হস্তক্ষেপ করছেন। বিশেষত কলকাতা হাইকোর্টের কিছু মামলায় বিচারপতিদের মন্তব্য আইনি মহলে রীতিমহলে সমালোচিত হয়েছে। বিচারের বাইরে গিয়ে এইসব মন্তব্য বিচারপতিদের করা আদৌ শোভা পায় কি না সে প্রশ্নও উঠেছে। সেই বিষয়গুলিকে মাথায় রেখে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলায় বিচারপতিদের মামলা নিয়ে মন্তব্য বা হস্তক্ষেপের উপর গণ্ডী টানল বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলার শুনানিতে এদিন বিচারপতি স্পষ্ট জানালেন, “বিচারপতিরা মামলা নিয়ে বিভ্রান্তিকর বা বিচ্ছিন্ন মন্তব্য করতে পারবেন না।” পাশাপাশি মামলায় নজরদারি করার নামে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে বিচারপতিরা হস্তক্ষেপ করছেন। এবিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, “নজরদারির নামে কোনও হস্তক্ষেপ করা যাবে না। ইডি, সিবিআই বা যে তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত চালাচ্ছে তাদেরকে নিয়ম মেনে কাজ করতে দিতে হবে।” পাশাপাশি হাইপ্রোফাইল মামলা নিয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে মামলা সংক্রান্ত ভুল এবং বিভ্রান্তিকর খবর প্রকাশিত হচ্ছে। এমন খবর প্রকাশ করা যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে শীর্ষ আদালতের তরফে।
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে বিচারপতিরা এমন মন্তব্য করছেন, যা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগ উঠেছে। এক্ষেত্রে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, বিচারপতি অমৃতা সিনহা, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার মন্তব্য নিয়ে বারেবারেই প্রশ্ন উঠেছে। শুধু কলকাতা হাইকোর্ট নয় দেশের অনেক আদালতেই এই ধরণের বিষয় পরিলক্ষিত হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের এই বক্তব্য এই সময় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।