কোটি কোটি টাকার ব্যবসা, কিন্তু ইটভাটায় শ্রমিক নিরাপত্তা কোথায়

0
3

বসিরহাটের ইটভাটায় ফায়ারিংয়ের (firing) সময় চিমনি ভেঙে মৃত শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ল। এপর্যন্ত মৃত্যু হল ৪জনের। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বসিরহাট থানার (Basirhat police) পুলিশ। মৃত ও আহতদের বেশিরভাগই ভিন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিক। এই ঘটনার পর ভিন রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ফের একবার প্রশ্নের মুখে।

বুধবার রাতে ভাটায় ফায়ারিংয়ের সময় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে চিমনি। চাপা পড়েই মৃত্যু হয় দুজনের। ধ্বংসস্তূপের তলা থেকে উদ্ধার করা দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তাঁদেরই একজন বৃহস্পতিবার মারা যায়। মৃতদের মধ্যে তিনজন হলেন হাফিজুল মণ্ডল, জেঠুরাম ও রাকেশ কুমার। কিন্তু এই মৃত্যুর দায় কার, উঠেছে সেই প্রশ্ন।

বসিরহাট তথা উত্তর ২৪ পরগণার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে অসংখ্য ইটভাটা। তাদের একটা বড় অংশ ভিন রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিক। এখান থেকে যথেষ্ট উপার্জন হয় বলেই এতদূর তাঁরা কাজ করতে আসেন। অর্থাৎ এই এলাকার ইটভাটাগুলির ব্যবসা বেশ রমরমিয়েই চলছে। গোটা রাজ্যে স্বচ্ছ ও সুশৃঙ্খল নগরোন্নয়ন নীতি থাকায় ইটের ব্যবসা যথেষ্ট লাভজনকও হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইটভাটার স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ (maintenance) ইটভাটা মালিকেরই দ্বায়িত্ব। দুর্বল ভাটায় এত শ্রমিককে একসঙ্গে ঢুকিয়ে কাজ করানোর অনুমতি নিয়েও তদন্ত করছে পুলিশ। ইটভাটা মালিক শ্রমিক স্বার্থে চিন্তাভাবনা করলে হয়তো ঠেকানো যেত এই দুর্ঘটনা।