ধান বিক্রির টাকা সরাসরি ঢুকেছিল ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের (Bakibur Rahman) দুই স্ত্রী অনামিকা বিশ্বাস ও হালিমা বেগমের অ্যাকাউন্টে। চার্জশিটে (Charge Sheet) এমনই বিস্ফোরক দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির (Enforcement Directorate)। ইডির দাবি, দুই স্ত্রীকে কৃষক দেখিয়ে সরকারি ধান কেনার টাকা তুলেছেন বাকিবুর রহমান। চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে অনামিকা বিশ্বাসের নামে থাকা একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ধান বিক্রি করেই জমা পড়ে চার কোটিরও বেশি টাকা। তবে এই টাকা কি ধান বিক্রি করে এসেছিল? সেই উত্তর এখনও জানা যায়নি। তদন্তকারীদের মতে, বর্তমানে বিষয়টি স্বীকার না করলেও বাকিবুর সবটাই জানেন।
তবে শুধু অনামিকা নন, তাঁর ভাই অভিষেক বিশ্বাস অর্থাৎ বাকিবুরের শ্যালকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও ধান বিক্রি বাবদ সরকারের কোষাগার থেকে চার কোটি টাকারও বেশি জমা পড়ে বলে চার্জশিটে বিস্ফোরক অভিযোগ ইডির। তবে এর আগে ইডির কাছে দেওয়া বয়ানে বাকিবুরের শ্যালক জানিয়েছিলেন, তাঁর কোনও চাষের জমি নেই। তিনি কোনও দিন ধান বিক্রি করেননি। পাশাপাশি তাঁর আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, সরকারি সংস্থা থেকে তাঁর অ্যাকাউন্টে যে টাকা এসেছিল, তার পুরো নিয়ন্ত্রণ ছিল বাকিবুরের হাতেই। এছাড়া ইডির চার্জশিটে আয়কর দফতরের অভিযানের প্রসঙ্গে উল্লেখ করে বাকিবুরের বিরুদ্ধে সরকারি তহবিল তছরুপের অভিযোগ ওঠে।
জানা গিয়েছে, ইডির জেরায় বাকিবুর নিজেই এদের পরিচয় স্পষ্ট করেছেন। পাশাপাশি কালো টাকা সাদা করতে পরিবারের এই ৩ সদস্যকে ব্যবহার করা হত বলে ইডি সূত্রে খবর। এছাড়া ইডির পেশ করা চার্জশিট থেকে জানা যাচ্ছে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী ও কন্যার নামে ৫৮টি টার্ম ডিপোজিট ছিল ব্যাঙ্কে। সেই অ্যাকাউন্টগুলিতে মোট ২ কোটি ৮৯ লক্ষ ১ হাজার ৪৭৮ টাকা জমা ছিল। ইডি সূত্রে খবর, এই গোটা টাকাই বাজেয়াপ্ত করেছেন গোয়েন্দারা। তবে রেশন দুর্নীতির সঙ্গে এই টাকার যোগ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।