সংসদের (Parliament) মতো জায়গায় সাংসদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ কেন্দ্রের বিজেপি সরকার (BJP Govt)। আবার সেই বিষয়ে সংসদের অধিবেশনে আলোচনা চাইলে শাস্তির খাঁড়া নেমে আসছে বিরোধী দলের সাংসদের উপর। বুধবারের ঘটনার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় (Rajyasabha) অধিবেশন শুরু হওয়ার পরেই এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা দাবি জানান তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন (Derek O’brien)। অন্যান্য বিরোধী সাংসদরা তাঁকে সমর্থন জানান। কিন্তু আলোচনার জন্য রাজি ছিল না শাসকদল বিজেপি বা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়। ওয়েলে নেমে এ বিষয়ে দাবি জানাতেই ডেরেককে নিষেধ করেন অধ্যক্ষ। নিজের দাবিতে অনড় থাকায় এরপরেই শীতকালীন অধিবেশনের বাকি সময়ের জন্য তৃণমূল সাংসদ ডেরেককে রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়।

বুধবার, লোকসভার অধিবেশন চলাকালীন ভিজিটরস গ্যালারি থেকে ঝাঁপ দেন দুই যুবক। জুতোর ভিতরে করে স্মক বম্ব নিয়ে ঢুকেছিলেন তাঁরা। অধিবেশন কক্ষে সেটা ছড়িয়ে দেন তাঁরা। এই ঘটনায় নিরাপত্তার চরম গাফিলতি ধরা পড়ে। এদিন অধিবেশন শুরু হতে, এনিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বিবৃতি দাবি করে রাজ্যসভায় সরব হন বিরোধী দলের সাংসদরা। ছিলেন তৃণমূল সাংসদরাও। ডেরেক ও ব্রায়েন রাজ্যসভার ওয়েলে নেমে স্লোগান দেন। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ধনকড় তাঁকে নিজের আসনে গিয়ে বসতে বলেন। কিন্তু দাবি অনড় থাকেন তৃণমূল সাংসদ। এর পরেই পুরনো মেজাজে দেখা যায় ধনকড়কে। তাঁর মনে হয়, তাঁর চেয়ারকে উপেক্ষা করছেন ডেরেক। এটা অসংসদীয় আচরণ বলে শীতকালীন অধিবেশনের বাকি দিনগুলির জন্য ডেরেক ও ব্রায়েনকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান।

এই বিষয় নিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে তুমুল আক্রমণ করে তৃণমূল। দুই সাংসদ দোলা সেন, কাকলি ঘোষদস্তিদার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, সংসদের নিরাপত্তা নেই। অথচ সাংসদরা আওয়াজ তুলতে গেলেই তাঁদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে।










































































































































