ফের কয়লাপাচার মামলায় (Coal Smuggling) তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। বৃহস্পতিবার সাতসকালে কলকাতার (Kolkata) ভবানীপুরের পাশাপাশি আসানসোল (Asansol), কুলটি সহ রাজ্যের মোট ১২ জায়গায় একযোগে তল্লাশি অভিযান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। সূত্রের খবর, এদিন আসানসোলের কালু, দুর্গাপুরে সৌরভ কুমার এবং কলকাতার সিআইএসএফ কর্মী শ্যামল সিনহার বাড়িতে হানা দেন গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রে খবর, কয়লাপাচার মামলায় আগে থেকেই সিবিআই-এর নজরে ছিলেন এই সকল ব্যক্তিরা। তবে এতদিন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে একেবারে আসানসোল সিবিআই বিশেষ আদালত থেকে সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে তদন্তে নেমে পড়েন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
মূলত কয়লা পাচার মামলার কিংপিং অনুপ কুমার মাঝি অর্থাৎ লালার সঙ্গে এদের কী ঘনিষ্ঠতা ছিল। আদৌ এরা আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছিল কী না তা খতিয়ে দেখতেই এই তল্লাশি অভিযান বলে খবর। পাশাপাশি কবে থেকে চলত এই ব্যবসা সবটাই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী কর্তারা। অভিযোগ, আসানসোল চত্বর জুড়েই লালা তাঁর সিন্ডিকেট চালাতেন। অপরদিকে, এদিন সকালেই ভবানীপুরের একটি আবাসনে হানা দেন গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রে খবর, লালা ঘনিষ্ঠ সিআইএসএফ-এর প্রাক্তন এক কর্মী শ্যামল সিনহা এই আবাসনে থাকেন। এদিন সকাল এগারোটা পর্যন্ত তাঁর আবাসনে তল্লাশি চালিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন ইডি আধিকারিকরা।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, লালার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছিলেন এদের প্রত্যেকেই। লালার কয়লা পাচারের টাকা এদের মাধ্যমে বাজারে বিনিয়োগ হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সিবিআই-র দাবি কয়লা পাচার মামলায় তাঁদের হাতে রয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ। তবে কী ভাবে কয়লার কালো টাকা সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছেছে তা এখনো খুঁজে বার করতে পারেননি তদন্তকারীরা।