সংসদের ভিতরে রাসায়নিক স্প্রে নিয়ে হামলাকাণ্ডে ফের এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। বুধবার রাতে হরিয়ানার (Hariyana) গুরুগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় পঞ্চম অভিযুক্ত বিশাল শর্মাকে (Vishal Sharma)। বিশালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সংসদে ‘স্মোক ক্র্যাকার’ নিয়ে ঢুকে পড়া দু’জন এবং বাইরে স্লোগান দেওয়া আরও দু’জনকে আশ্রয় দিয়েছিলেন তিনি। তবে গোটা ঘটনায় ছ’জন অভিযুক্তের নাম উঠে আসলেও এখনও ষষ্ঠ জনকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ (UAPA) আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার দুপুরে বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহার দেওয়া প্রবেশপত্র পকেটে নিয়ে ঢুকে পড়ে। ঘটনায় দুই যুবক ও সংসদ চত্বরের বাইরে থেকে এক যুবক-যুবতীকে আটক করে পুলিশ। সংসদের বাইরে হলুদ স্মোক বম্ব নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল নীলম নামের এক যুবতী ও আনমোল নামক এক যুবক। দূর থেকে তাদের ভিডিয়ো রেকর্ড করছিল এক ব্যক্তি। নীলম ও আনমোলকে গ্রেফতার করা হলেও, যে ব্যক্তি গোটা ঘটনাটি রেকর্ড করছিলেন, তিনি পালিয়ে যান। পরে পুলিশ তাঁকে গুরুগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ছয়জনের সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পরিচয় হয়েছিল। বিগত চার বছর ধরে তাঁরা একে অপরকে চেনে। বেকারত্বের ইস্যু নিয়ে কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই নাকি তাঁরা এই ছক কষেছিল। একইসঙ্গে বিখ্যাত হওয়ারও স্বপ্ন ছিল সকলের। সেই কারণেই এই ছক কষা। এমনকী, সংসদ চত্বরের রেপ্লিকাও তৈরি করে তাঁরা পরিকল্পনাকে নিখুঁতভাবে বাস্তবায়িত করার জন্য। ছয়জনই সংসদের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সাগর শর্মা ও মনোরঞ্জন ডি নামক ওই দুই যুবকই একমাত্র পাস পায়। অভিযুক্তদের কাছ থেকে অন্য কোনও অস্ত্র পাওয়া যায়নি। এখনও অবধি তাদের সঙ্গে কোনও সন্ত্রাসবাদী যোগও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এদিকে লোকসভার ভিতরে হুলস্থূল চলাকালীনই সংসদ ভবনের বাইরে স্লোগান তোলেন দুই বিক্ষোভকারী। এদিকে বুধবারই ছিল সংসদে হামলার ২২ বছর পূর্তি। ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর জমানায় ১৩ ডিসেম্বর সংসদ ভবনে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হামলায় ন’জন নিহত হয়েছিলেন। বুধবার সকালে সে দিনের সন্ত্রাসে নিহত নিরাপত্তা কর্মীদের স্মরণ করেই শুরু হয়েছিল সংসদের দু’কক্ষের শীতকালীন অধিবেশন।