আজকের দিনে কী কী ঘটেছিল? চলুন দেখে নেওয়া যাক

0
1

১৯০৩
শিবরাম চক্রবর্তী
(১৯০৩-১৯৮০) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। শিবরাম চক্রবর্তীর লেখা যেমন ছোটদের জন্য, তেমনি বড়দের জন্যও। এমনটা অনেকের ভাগ্যে ঘটে না। তিনি তো কবিতা দিয়ে শুরু করেছিলেন। গম্ভীর বিষয়ে প্রবন্ধও লিখেছেন। কিন্তু ব্যক্তি-শিবরামের অবস্থান ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন মেরুতে। একেবারে অন্য রকমের মানুষ, অন্য রকমের লেখা। কারও সঙ্গে মিলবে না। যদি কেউ প্রশ্ন করেন, তাঁর লেখার আকর্ষণটা কোথায়? তা হলে একটিই উত্তর, বলতে পারব না। ভাল রাঁধুনি যেমন বলতে পারবেন না, ঠিক কীসের সঙ্গে কীসের সংযোগে এমন সুস্বাদু একটি পদ তৈরি হল। তাঁর লেখার মধ্যে একজন মানুষকে দেখতে পাওয়া যায় । না সাধু, না গৃহী— সম্পূর্ণ মুক্তমনের একজন। এর বীজ রয়েছে তাঁর জীবনের কথায়। উত্তরবঙ্গের চাঁচল। সেখানকার রাজা ঈশ্বর গুপ্তের দুই স্ত্রী সিদ্ধেশ্বরী আর ভূতেশ্বরী। রাজা দুই স্ত্রীকেই অপুত্রক রেখে দেহ রাখলেন। তখন সিদ্ধেশ্বরী দেশের থেকে নিজের বোন বিন্ধ্যেশ্বরীর ছেলে শিবপ্রসাদকে নিয়ে এসে তাকে দত্তক নিলেন। এই শিবপ্রসাদ চক্রবর্তীই হলেন শিবরামের বাবা। ছোটবেলা থেকেই দেখতেন বাড়িতে তাঁর বাবা এবং মা, এই দু’জনের কেউই যেন লৌকিক জগতে থেকেও নেই। ফলে শিবরামেরও তাই হল। সংসারের প্রতি মায়া জন্মাল না। একেবারে কিশোর বয়সেই একদিন পাকাপাকিভাবে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিলেন স্বয়ং দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের সঙ্গে। লেখক হিসেবে ছেলেবুড়ো সবার মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন মূলত হর্ষবর্ধন-গোবর্ধন ও বিনির মতো চরিত্র সৃষ্টির সুবাদে। হাসির গল্পের বাইরে তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য বইগুলোর মধ্যে আছে ‘বাড়ি থেকে পালিয়ে’, ‘মস্কো বনাম পণ্ডিচেরি’, আত্মজীবনীমূলক ‘ঈশ্বর পৃথিবী ভালবাসা’ প্রভৃতি।

১৯৩৭
নানকিং গণহত্যা শুরু হল এদিন। ৬ সপ্তাহ ধরে জাপানি সেনাবাহিনী চিনের তদানীন্তন রাজধানী নানকিং-এর বাসিন্দাদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন, লুটপাট ও ধর্ষণ চালায়। তাদের হাতে প্রায় ৩ লক্ষ ৭০ হাজার নিরীহ চিনা নিহত হন। নিরপেক্ষ প্রত্যক্ষদর্শী ও ফটোগ্রাফিক প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও জাপান সরকার নানকিং গণহত্যা এখনও অস্বীকার করে। ১৯৩৭-’৪৫ সালের ইতিহাস জাপানি স্কুলে বিকৃত করে পড়ানো হয়। ‍‘নানকিং ম্যাসাকার’ জাপানিদের বইয়ের ‍‘নানকিং ইনসিডেন্ট’ নামে জায়গা পেয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, দুই পক্ষের যুদ্ধের সময় কিছু হতাহতের ঘটনা ঘটে। ব্যস! এইটুকুই।

১৯৯২
সতীনাথ মুখোপাধ্যায়
(১৯২৫-১৯৯২) এদিন সুরলোকে গমন করেন। আধুনিক বাংলা গান, নজরুলগীতি ও গজলশিল্পী। সতীনাথ মুখোপাধ্যায় ও উৎপলা সেন যেন বাংলা গানের উত্তম-সুচিত্রা। ১৯৪২-এ সতীনাথ প্রথম রেকর্ড করেন নজরুলগীতির— ‘ভুল করে যদি ভাল বেসে থাকি’। তুমুল সাড়া পড়ে যায়। এ-ছাড়াও সাড়া ফেলেছিল যেসব গানের রেকর্ড, তাতে রয়েছে ‘আমি চলে গেলে পাষাণের বুকে লিখো না আমার নাম’, ‘এ জীবনে যেন আজ কিছু ভাল লাগে না’, ‘জীবনে যদি দীপ জ্বালাতে নাহি পারো’, ‘মরমীয়া তুমি চলে গেলে’ ইত্যাদি।

১৭৫৯
আমেরিকায় প্রথম মিউজিক স্টোরের উদ্বোধন হল এদিন। ফিলাডেলফিয়াতে মাইকেল হিলেগ্যাস (১৭২৯-১৮০৪) এটি চালু করেন। মাইকেলের বাবার ছিল চিনি আর লোহার ব্যবসা। মাইকেল নিজেও ছিলেন সফল ব্যবসায়ী, পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিবিদও। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা সম্পাদনার কাজেও হাত লাগিয়েছিলেন।

১৯৩০ বিনয় বসু
(১৯০৮-১৯৩০) এদিন মৃত্যুবরণ করেন। অলিন্দ যুদ্ধের পর গুরুতর আহত অবস্থায় বিনয়কে আনা হয় হাসপাতালে। তিনি ছিলেন মেডিক্যালের ছাত্র। তাই মৃত্যুকে কীভাবে বরণ করতে হয় তা তিনি জানতেন | এ-জন্য এদিন বিনয় নিজের মাথার ব্যান্ডেজ খুলে ক্ষত জায়গায় আঘাত করে মৃত্যুকে বরণ করেন |

২০০৩
সাদ্দাম হুসেন এদিন মার্কিন বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেন। তিরকিতের কাছে একটা ছোট্ট ভূগর্ভস্থ বাঙ্কার, নাম ‘স্পাইডার হোল’ বা ‘মাকড়সার গর্ত’। সেখানেই কয়েকমাস লুকিয়েছিলেন ইরাকের ক্ষমতাচ্যুত শাসক সাদ্দাম। সেখান থেকেই এদিন তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে মার্কিন সেনারা।