গাজায় হামাসকে নিকেশ করতে সুড়ঙ্গে সমুদ্রের জল ঢোকাচ্ছে ইজরায়েল!

0
1

ইজরায়েলের হামলা থেকে বাঁচতে গাজার সুড়ঙ্গে লুকিয়ে রয়েছে হামাসের শীর্ষ নেতারা। তাই লাগাতার বোমা হামলার পাশাপাশি ইঁদুরের মতো গর্তে লুকিয়ে থাকা হামাসকে ধ্বংস করতে সুড়ঙ্গে সমুদ্রের জল পাম্প করতে শুরু করল ইজরায়েল সেনা। পুরো সুড়ঙ্গ প্লাবিত করতে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ইজরায়েলের এহেন পদক্ষেপে উদ্বেগ বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে গাজায় জলবাহিত রোগের প্রাদূর্ভাব দেখা দিতে পারে। সুড়ঙ্গের এই জল খাওয়ার জলকে সংক্রমিত করবে। এভাবেই হামাসের ভূগর্ভস্থ পরিকাঠামো ধ্বংস করা যাবে বলে মনে করছে তারা।

ইজরায়েলের লাগাতার হামলার মুখে বর্তমানে হামাসের বেঁচে থাকার অন্যতম উপায় হল এই সুড়ঙ্গ জাল। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুড়ঙ্গে সমুদ্রের জল পাম্প করার প্রক্রিয়া এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ভূমধ্য সাগরের জল পাইপের মাধ্যমে পাম্প করে সুড়ঙ্গগুলি ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ইজরায়েল জানিয়েছে, হামাসের এই সুড়ঙ্গের জাল ছিন্ন করতেই গাজায় তারা স্থলপথে অভিযান চালিয়েছে। অভিযানের মূল উদ্দেশ্যই ছিল সূড়ঙ্গ ধ্বংস করা। হামাস এই সুড়ঙ্গগুলি বিভিন্ন পণ্য পাচার করা থেকে শুরু করে ইজরায়েলে হামলা চালানোর মতো বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে থাকে। ইজরায়েলের মতে, এই সুড়ঙ্গগুলিতেই রকেট এবং অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্রও লুকিয়ে রেখেছে হামাস। সুড়ঙ্গেই রয়েছে হামাসের কমান্ড সেন্টারও। একবার এই সুড়ঙ্গ ধ্বংস করতে পারলে, হামাসের শিড়দাঁড়া ভেঙে যাবে বলে মনে করছে তেল আবিব।

পাশাপাশি ইজরায়েলের দাবি পণবন্দিদের এই সুড়ঙ্গে আটকে রেখেছে হামাস। সুড়ঙ্গ ভাসিয়ে দিলে, তাদের কী হবে, সেই প্রশ্নটা উঠতে শুরু করেছে। পণবন্দিদের পরিবারের লোকজন প্রথম থেকেই পণবন্দিদের মুক্ত করার জন্য বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরকারের কাছে চাপ সৃষ্টি করেছে। এই ক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রীর কাছে তারা সুড়ঙ্গ প্লাবত না করার আবেদন জানিয়েছেন। সুড়ঙ্গগুলি ভাসিয়ে দিলে, তাদের প্রিয়জনদেরও মৃত্যু হবে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। তবে, সুড়ঙ্গ ভাসিয়ে দেব বললেই দিতে পারবে না ইজরায়েল। গাজার নীচে সুড়ঙ্গপথের মোট দৈর্ঘ ৪৮০ কিলোমিটারেরও বেশি বলে শোনা যায়। সেই সঙ্গে সুড়ঙ্গগুলি পুরু দরজা দিয়ে সুরক্ষিত, যে দরজাগুলি বিস্ফোরণেও ভাঙবে না। ফলে এই সুড়ঙ্গ ভাসাতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে ইজরায়েলের।