এবার আসানসোলের (Asansol) প্রাক্তন বিধায়কের বাড়িতে হানা দিল আয়কর দফতরের কর্তারা (Income Tax Department)। বুধবার সাতসকালেই কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা সোহরাব আলির (Sohrab Ali) বাড়িতে হানা দেন। তবে শুধু সোহরাব নন, এদিন সকালে বার্নপুরের এক প্রোমোটার ইমতিয়াত আলির বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। ঠিক কী কারণে তল্লাশি অভিযান (Search Operation) চালানো হচ্ছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে কেন্দ্রীয় সংস্থার হানা প্রসঙ্গে সরব বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, এসব করে কিছুই প্রমাণ করা যাবে না। নির্বাচন এগিয়ে আসতেই অবিজেপি রাজ্যগুলিতে মোদি সরকার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে শুধুমাত্র সবাইকে হেনস্থাই করছে।

সূত্রের খবর, এদিন ভোর ৫টা নাগাদ আসানসোলে সোহরাবের দুটি বাড়িতে পৌঁছে গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। এরপরই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি দুটি বাড়িতেই জোরকদমে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন আয়কর দফতরের আধকারিকরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, হীরাপুরের শেখ আলীর ছেলে সোহরাব আলী। শেখ আলী পেশায় গাড়ির চালক হলেও তাঁর মূল ব্যবসা ছিল লোহার। সেইসূত্র ধরেই সোহরাব আলি লোহার কারবারে নামেন। অভিযোগ, লোহার ব্যবসার আড়ালে ধরমপুরে বেআইনি কাঁটা চালানো,বার্নপুরে রেল ওয়াগেন ব্রেকিং করা, ইস্কো কারখানায় লোহার স্ক্র্যাপের বেআইনি ধান্দা সহ নানা আভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁর এই আর্থিক প্রতিপত্তির হিসাব নিকেশ দেখতেই আয়কর গোয়েন্দাদের হানা বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এদিন শুধু আসানসোলই নয়, দুর্গাপুর, রানিগঞ্জ সহ মোট ৬ থেকে ৭ জায়গায় আয়কর দফতরের আধিকারিকরা তল্লাশি চালায় বলে অভিযোগ। এদিন আয়কর দফতরের মোট ৭০ আধিকারিক ১০টি দলে ভাগ হয়ে বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে বলে খবর।









































































































































